বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের ‘প্রেস্টিজ ফাইটে’ শাসকদল তৃণমূল (TMC) এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপি (BJP) কেউ কাওকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। গেরুয়া শিবির একুশের নির্বাচনে পরিবর্তনের ডাক তুলে নির্বাচনী প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তো শাসক দল তৃণমূলও প্রত্যাবর্তনের আশায় মরিয়া হয়ে উঠেছে। তা নিয়েই চার দফার ভোটগ্রহণ পর্ব মিটে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। বাকি আরও চার দফা। তারই আগে ফের চাঞ্চল্যকর দাবি করে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishore)।
তিনি এদিন দাবি করেন, এবারের নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি পেতে চলেছে ৪০ শতাংশ ভোট। তিনি এও স্বীকার করেন যে বাংলার নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) যথেষ্ট প্রভাব দেখা যাচ্ছে। তারপরই তিনি এও বলেন, বিজেপি ৪০ শতাংশ ভোট পেলেও আসন সংখায় ১০০-র গণ্ডি পেরোতে পারবে না। তিনি জানান, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) একজন শক্তিশালী নেতা। তাঁর পিছনে বাংলার মানুষের একটি বড় অংশের সমর্থন রয়েছে। তাই এবারও সরকার গঠন করতে চলেছে তৃণমূলই বলে দাবি করেন তিনি।
এদিন তিনি আরও জানান, ২০১৯ এর লোকসভা বিজেপি ১৮টি আসন পেয়েছিল। সেই অনুযায়ী গেরুয়া শিবিরের প্রভাব রয়েছে ১২৫টি বিধানসভা আসনে, আর যা বাংলার ২৯৪টি বিধানসভার আসনের নিরিখে সরকার গড়ার ধারেপাশে নেই। তিনি বলেন, বিজেপি ১০০-র গণ্ডি পেরোবে না। যদি তেমনটা হয় তিনি রাজনীতি ছেঁড়ে দেবেন বলে ফের জানান। তাঁর কথায়, ‘তেমন টা হলে তাঁর ভোটকুশলী হওয়ার যোগ্যতা নেই’।
অন্যদিকে প্রশান্ত কিশোর এও অভিযোগ করেন যে, বিজেপি এ রাজ্যে অগ্রাসি প্রচার চালাচ্ছে। তৃণমূলের লোকদের টার্গেট করা হচ্ছে এখানে। তবে বাংলার মানুষের মনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য এখনও স্নেহ রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তারপর তিনি এও বলেন, বাংলার মানুষের এই স্নেহের কারনে মমতা এখনও নির্বাচনী লড়াইয়ে শক্তপোক্ত ভাবে দাঁড়িয়ে আছেন।
এর পাশাপাশি ভোটকুশলী ভোট চতুর্থীর দিন ফাঁস হওয়া চ্যাট নিয়ে জানান, তিনি জানতেন যে তাঁর কথা অনেকেই শুনছেন, তবে বিজেপি যে অংশটুকু সামনে নিয়ে এসে হৈচৈ করছে, তা না করে ওঁদের উচিৎ ছিল পুরো আড্ডা অর্থাৎ চ্যাটটা সামনে নিয়ে আসা।