বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ মামলা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক কম তৈরি হয়নি। এবার ফের একবার আদালতে ধাক্কা খেলো প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। ২০১৪ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি করার পর ২০১৭ সালে ১৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখা যায় অনেককেই নিয়োগ করা হয়েছে উপযুক্ত নথিপত্র ছাড়াই। শুধু উত্তরদিনাজপুরেই এমন ১৩ জনের খোঁজ মিলেছে যারা টেট পাশ না করেও শিক্ষকতা করছেন। সেই সূত্র ধরেই এবার বড় সিদ্ধান্ত নিলেও কলকাতা হাইকোর্ট।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি, ২০১৭ সালের নিয়োগ হওয়া ১৫ হাজার শিক্ষকের নামের তালিকা চেয়ে পাঠালো প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কাছ থেকে। প্রথমে এই মামলা চলছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে। মামলার শুনানি চলাকালীন এই ১৩ জনের নাম সামনে আসতে জনস্বার্থে মামলাটি ডিভিশন বেঞ্চে ট্রানস্ফার করে দেন তিনি। টেট পরীক্ষায় দুর্নীতি নিয়ে আগেও বারবার সরব হয়েছে বিরোধীরা, এবার কার্যত তার কিছুটা নমুনা সামনে এল আদালতেও।
ডিভিশন বেঞ্চের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল, ঘটনা শোনার পর রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে নির্দেশ দেন আগামী ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ১৫ হাজার শিক্ষকের নামের তালিকা জমা দিতে হবে আদালতে। সাথে সাথেই বিচারপতি বিন্দাল এও জানিয়েছেন যে, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ যদি খুঁজে বের করতে অসমর্থ হয় তাহলে তালিকা দেখে আদালত খুঁজে বের করবে কোন কোন নিয়োগ দুর্নীতিগ্রস্ত।
এই ঘটনায় ফের একবার চেয়ে বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এসএসসিতে নিয়োগ নিয়ে নানারকম দুর্নীতি চোখে পড়ায় এর আগেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের সমালোচনায় সরাসরি মুখর হয়েছে আদালত। এবার একই রকম সমালোচনার মুখে পড়ল প্রাথমিক শিক্ষা সংসদও।