বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এক দমকা হাওয়া এসে যোনির মধ্যে প্রবেশ করে, তারপরই মহিলা গর্ভবতী (pregnant) হয়ে পড়েন। শুধু তাই নয়, ১ ঘন্টার মধ্যেই প্রসব বেদনা ওঠে এবং জন্ম দেয় এক ফুটফুটে কন্যা সন্তানের। এমনই এক অদ্ভূত দাবি করেছেন ইন্দোনেশিয়ার (indonesian) এক যুবতী। যা শুনে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
ইন্দোনেশিয়ার বাসিন্দা সিতি জাইনার বয়স ২৫। তাঁর একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। স্বামীর সঙ্গে বনিবনায় না হওয়ার কারণে ৪ মাস আগেই তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদও হয়ে যায়। তারপর থেকে তারা পৃথক থাকতে শুরু করে। কিন্তু বর্তমানে ছড়িয়ে পড়েছে তিনি নাকি হাওয়ায় গর্ভবতী হয়েছেন এবং তাঁর সদ্যজাত শিশুকে দেখার জন্য ভিড়ও জমেছে তাঁর বাড়িতে।
এমন অদ্ভূত ঘটনা প্রসঙ্গে সিতি জাইনা জানিয়েছেন, ‘গত সপ্তাহে ঘটনার দিন আমি বিকেলের প্রার্থনার পরে ঘরে শুয়েছিলাম। ঠিক তখনই আচমকা একটা হাওয়া যেন আমার গোটা বাড়িটাকে ঘিরে নেয়। এরই মধ্যে টের পাই, একটা হাওয়া যেন আমার যোনির মধ্যে প্রবেশ করে। তার ঠিক ১৫ মিনিটের মধ্যেই আমার পেটে অসহ্য ব্যাথা শুরু হওয়ায় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে আমার কন্যা সন্তানের জন্ম হয়’।
এই অদ্ভূত ঘটনার বিষয়ে শুনে সকলেই খুব অবাক হয়েছেন। ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে স্থানীয় প্রশাসনের অধিকর্তা জাইনার বাড়িতেও গিয়েছিলেন। তিনি জানান, ‘জাইনার অদ্ভূত ভাবে গর্ভবতি হওয়ার খবর পেয়ে আমরা বিষয়টি তদন্ত করতে এসেছি। এধরনের খবরে যাতে কোন গুজব ছড়িয়ে না পড়ে, আমরা সেদিকটা দেখছি’।
কোন পুরুষের সঙ্গ ছাড়াই জাইনা হাওয়ায় গর্ভবতী হওয়ার অদ্ভূত দাবি করলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই ধরণের কেসকে ‘ক্রিপটিক প্রেগন্যান্সি’ বলা হয়। এক্ষেত্রে মহিলা নিজেও জানতে পারেন না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা। প্রসবের বেদনা ওঠার পর তিনি জানতে পারেন। তবে জাইনা এবং তাঁর কন্যা সন্তান এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আছে এবং শিশুটির ওজন হয়েছিল ২.৯ কেজি।