বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নির্ভয়া গণ ধর্ষণ (Nirbhaya Case) কাণ্ডের চার দোষীদের ফাঁসিতে ঝোলানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। সুত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে, আগামী ১৬ই ডিসেম্বর নির্ভয়ার দোষীদের যাতে ফাঁসি দেওয়া যায়, সেই জন্য তিহার জেল (Tihar Jail) প্রশাসন ফাঁসির তক্তা প্রস্তুত করে একটি ডামি দিয়ে ট্রায়াল করেছে। যদিও এখনো ফাঁসি দেওয়ার জন্য জেল প্রশাসনকে কোন চিঠি পাঠানো হয়নি। নির্ভয়াকে ধর্ষণ আর হত্যা করার অপরাধে মৃত্যুর সাজা পাওয়া তিহার জেলে বন্দি দোষীদের প্রাণ ভিক্ষার আবেদন খারি হয়েছে।
সাত বছর আগে ২০১২ এর ১৬ই ডিসেম্বর নির্ভয়ার সাথে ছয়জন চলন্ত বাসে গণ ধর্ষণ করেছিল। ছয় জনের মধ্যে এক ধর্ষক মোহম্মদ আফরোজ নাবালক বলে সে এখন মুক্ত। আরেকদিকে অভিযুক্ত রামসিং তিহার জেলেই আত্মহত্যা করে নেয়। বাকি চার দোষীকে খুব শীঘ্রই ফাঁসিতে ঝোলানো হতে পারে। সুত্র অনুযায়ী, তিহার জেল প্রশাসন একটি ডামিতে ১০০ কেজি বালি ভোরে ট্রায়াল করেছে। আর এই ট্রায়ালের প্রধান উদ্দেশ্য হল যে, যদি দোষীদের ফাঁসি দেওয়া হয়, থাওলে ফাঁসির জন্য বানানো স্পেশ্যাল দড়ি যেন তাঁদের ভারে ছিঁড়ে না যায়। জেল প্রশাসন ফাঁসি দেওয়ার সময় দোষীদের আর কোন সুযোগ দিতে চায়না।
তিহার জেলের সুত্র অনুযায়ী, এমন না যে ফাঁসি দেওয়ার জন্য সব দড়িই বক্সারের জেল থেকে আমদানি করা হবে। তিহার জেলে এখনো পাঁচটি দড়ি মজুত আছে। কিন্তু তিহার জেল থেকে বক্সারের জেলে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে যে, ফাঁসি দেওয়ার জন্য বক্সারের জেল থেকে ১১ টি দড়ি চেয়ে পাঠানো হতে পারে। ফাঁসি দেওয়ার জন্য উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র অথবা পশ্চিমবঙ্গ থেকে জল্লাদ ডাকা হতে পারে। তিহার জেলের তিন নম্বরে ফাঁসি কাঠ আছে।
নির্ভয়া কেসের দোষীদের মধ্যে একজন পবন মডৌলিকে জেল নম্বর ১৪ থেকে তিহার জেলেরই জেল নম্বর ২ টে শিফট করা হয়েছে। ওই জেলে অক্ষয় আর মুকেশও বন্দি আছে। আর বিনয় শর্মাকে জেল নম্বর ৪ এ বন্দি করে রাখা হয়েছে।