ISRO-র গগনযানের প্রস্তুতি প্রায় শেষ! আগামী বছরেই মহাকাশে যাবেন ভারতীয় মহাকাশচারীরা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বহুপ্রতিক্ষিত গগনযান মিশন নিয়ে এবার বড় তথ্য সামনে আনলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্ব) জিতেন্দ্র সিং। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই গগনযানের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তার আগে, এই বছরের শেষ নাগাদ ২ টি ট্রায়াল পরিচালিত হবে। সর্বোপরি, আগামী বছর ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক বা দু’জন মহাকাশচারী মহাকাশে যেতে পারেন বলেও জানান তিনি।

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে , মন্ত্রী বলেছেন প্রথম ট্রায়ালটিতে কেউ না থাকলেও দ্বিতীয়টিতে একটি মহিলা রোবট (মহাকাশচারী) পাঠানো হবে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ব্যোমমিত্র। এই দু’টি মিশনের ভিত্তিতে মহাকাশচারীরা তৃতীয় মিশনে মহাকাশের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিতে পারেন।

পাশাপাশি, মোরাদাবাদে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় মহাকাশ ও আর্থ সায়েন্সের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, ভারত বিশ্বের মঞ্চে একটি দ্রুত অগ্রগতিশীল দেশে পরিণত হয়েছে। সেই রেশ বজায় রেখেই মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠানোর পাশাপাশি ২০২৩ সালে গগনযান পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। উল্লেখ্য যে, এর আগে গত জুন মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছিলেন, “মানব মিশনের পরীক্ষাগুলি উন্নত স্তরে পৌঁছেছে। মহাকাশ ও সমুদ্র উভয় স্থানেই পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এটা খুবই সম্ভব যে, ২০২৩ সালের দ্বিতীয়ার্ধে, আমরা একটি বড় অগ্রগতি পাব।”

এছাড়া, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং গত মে মাসে একটি সেমিনারে বলেছিলেন, “এই মানব মিশনগুলির মাধ্যমে ভারত মহাকাশ-ভিত্তিক পরিষেবার ক্ষেত্রে বিশ্বের মধ্যে নেতৃত্ব দিতেও সক্ষম হয়ে উঠবে। এমনিতেই বর্তমানে, মহাকাশ প্রযুক্তি ব্যবহারে ভারত বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশ হয়ে উঠেছে। বিশ্বের অন্য কোনো দেশে মহাকাশ প্রযুক্তির উন্নয়ন ও পরিকাঠামোগত কর্মসূচিতে এত ব্যাপক ও বৈচিত্র্যময় ব্যবহার নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারতের মহাকাশ কর্মসূচি বেশ গতি পেয়েছে।”

1016677 isro

উল্লেখ্য যে, গত ৩০ জুন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) চেয়ারম্যান এস. সোমনাথ জানিয়েছিলেন যে, “বহুকাঙ্খিত গগনযান মিশনের অধীনে দেশের প্রথম মনুষ্যবাহী মহাকাশযানের উড়ান এই বছর বা পরের বছর নাও ঘটতে পারে। কারণ সংস্থাটি সমস্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চায়।” পাশাপাশি, ইসরো প্রধান আরও বলেছেন, “এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মিশন। মানুষকে যখন মহাকাশে পাঠানো হয়, তখন সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। নিরাপত্তার বিষয়ে বারবার পরীক্ষা করা হচ্ছে। আমাদের খুব সাবধানে এগোতে হবে।” এছাড়াও, তিনি বলেন সমস্ত কিছু ঠিক আছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য পরের বছরের মাঝামাঝি একটি পরীক্ষা এবং একটি মানবহীন মিশন সম্পন্ন হবে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর