বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বহু কল্পনা-জল্পনা ও অপেক্ষার পর গত সপ্তাহে ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে ভোট পূর্বে সদ্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনার (State Election Commissioner) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন রাজীব সিনহা (Rajib Sinha)। বুধবার নির্বাচন কমিশনারকে সহযোগিতা করার দায়িত্ব পেলেন অনগ্রসর শ্রেণি ও সমাজকল্যাণ দফতরের সচিব আইএএস সঞ্জয় বনসল।
নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠে আসছে অশান্তির অভিযোগ। কাল প্রার্থীদের মনোনয়ন জমার পঞ্চম দিনেও বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ হয়। চলে গোলাগুলি, বোমাবাজি। আজ মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। মনোনয়নের দিন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে বিরোধীরা হাইকোর্টে গেলেও কোনও সুরাহা হয়নি।
মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানো হবে কি না, সেই বিষয়টি কমিশনের উপরেই ছেড়ে দিয়েছে আদালত। অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ১৩ তারিখ পর্যন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রায় দু’হাজার জনকে অশান্তির কারণে আটক করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৫০০ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে মনোনয়ন ও ভোটকে কেন্দ্র করে হতে থাকা লাগাতার সংঘর্ষের দরুন মঙ্গলবার পর্যন্ত ৬২ জন আহত হয়েছেন বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে আদেও কি শান্তিপূর্ণ ভাবে হবে পঞ্চায়েত ভোট? এই নিয়ে উঠছে হাজারো প্রশ্ন। এখনও পর্যন্ত প্রায় চার হাজার জনের অস্ত্র লাইসেন্স জমা নেওয়া হয়েছে বলেও কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।
ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকেই বেঁধে গিয়েছেন নির্বাচন দামামা। মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকেই বারেবারে অশান্ত হয়েছে ভাঙড়, ক্যানিং সহ একাধিক এলাকা। ভাঙড়ে খোদ তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের ছেলের গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বোমা।
এই সমস্ত স্পর্শকাতর এলাকায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন বাড়তি নজর রাখছে বলে খবর। শুধুমাত্র মনোনয়ন ঘিরেই এত অশান্তি। ভোট আসতে এখনও প্রায় একমাস। কড়া নিরাপত্তা, নজরদারি না রাখলে ভোটের সময় কি হতে চলেছে সেই ভেবে শিউরে উঠছে রাজ্যের মানুষ।