ইস্তফা দেওয়ার চাপ বাড়ছে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর উপর, কমিউনিস্ট পার্টির বৈঠকে নিলেন না অংশ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীনের সঙ্গ দিয়ে ভারতকে (India) চাপে রাখতে গিয়ে নিজেই বিপাকে পড়লেন নেপালের (Nepal) প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি (KP Sharma Oli)। রাজনৈতিক মানচিত্রে বদল ঘটিয়ে ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করে দলে নিজের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে নিজের আসন বাঁচাতে দলীয় সভায় অংশগ্রহণই করছেন না তিনি। পাছে তার দল তাঁকে ইস্তফা দিতে বলে সেই ভয়ে।

দলীয় সভার অনুপস্থিত অলি
সংবাদ সূত্রে জানা যায়, ২৬ শে জুন শুক্রবার কেপি শর্মা অলির বাসভবনে কমিউনিস্ট পার্টির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দেরী করে অংশ নেবেন বলেও, শেষ পর্যন্ত তিনি আর আসলেনই না। দলের স্থায়ী কমিটির এই বৈঠক প্রথমে ৭ ই মে অনুষ্ঠান হবার কথা বলা হলেও, ৪৪ সদস্যের সমর্থনে তিনি এই সময় এগিয়ে আনেন। তবে ভারত বিরোধী মানচিত্র প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই তাঁকে, দুটি পদের একটির থেকে সরে আসার জন্য চাপও দিতে থাকে কমিটি।

pm oli.2e16d0ba.fill 650x500 1

দল মধ্যস্থ অনেক নেতারাই অলির পদত্যাগের দাবী জানাচ্ছে
এই ঘটনার জেরে স্থায়ী কমিটির এক সদস্য গোকরান বিস্ট জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে নিজেই অনুপস্থিত থাকার অর্থ, দলের অন্যান্য সদস্যদের অপমান। বৈঠকে এসে দলের সদস্যদের কথাবার্তা শোনা উচিত ছিল তার’। আবার দল মধ্যস্থ অনেক নেতারাই অলির পদত্যাগের দাবী জানাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, প্রধানমন্ত্রী অলি আশা করেছিলেন যে এই মাসে সংসদের মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী অলি নিজেকে এমন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে উপস্থাপন করতে চলেছিলেন, যিনি তার প্রতিবেশীকে চাপে রাখতে চেয়েছিলেন।

রাস্তা আলাদা কর, নয়ত উন্নতি কর
বুধবারের নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও এর প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। দলের সহ-চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কামাল দহালও এই বিষয় নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। অলিকে দল ত্যাগ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, হয় আমাদের রাস্তা আলাদা করতে হবে, নয়ত উন্নতি করতে হবে।, যেহেতু আমরা রাস্তা আলাদা করতে পারব না, তাই সেক্ষেত্রে আমাদের কর্মকান্ডে বদল আনতে হবে। ত্যাগের জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর