বাংলাহান্ট ডেস্ক : বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে মণিপুর (Manipur)। ভয়াবহ হিংসার জেরেই মণিপুরে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। বিদেশ থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানি করার ক্ষেত্রে নানান ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে, মণিপুরের অভ্যন্তরেই দ্বিগুণ দামে রোজকার জীবনের জন্য দরকারি জিনিসপত্র কিনতে হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, মণিপুরের যে জেলাগুলি হিংসাত্মক ঘটনার শিকার হয়নি, সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। মণিপুরের বেশিরভাগ এলাকায় সিলিন্ডার, পেট্রোল, চাল, আলু, পেঁয়াজ এবং ডিম কিনতেও কার্যত নাভিশ্বাস উঠছে সকলের। ব্যাপক কালোবাজারি শুরু হয়েছে মণিপুরের বিভিন্ন এলাকায়।
পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুসারে, ইম্ফল পশ্চিম জেলার স্কুল শিক্ষক মঙ্গলেম্বি চানম বলেছেন, “আগে ৫০ কেজি চালের বস্তা ৯০০ টাকায় পাওয়া যেত, কিন্তু এখন তা ১৮০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আলু ও পেঁয়াজের দামও বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। রাজ্যের বাইরে থেকে আনা প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে।”
গ্যাস সিলিন্ডার কেনার জন্য গুনতে হচ্ছে প্রায় ১৮০০ টাকা। এমনকি, বিভিন্ন জায়গায় পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ১৭০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। একই সঙ্গে চড়চড়িয়ে বাড়ছে ডিমের দাম। আগে যেখানে ৩০ টি ডিমের একটি ক্রেট ১৮০ টাকায় পাওয়া যেত, কিন্তু এখন সেটাই ৩০০ টাকার কমে পাওয়া যাচ্ছে না।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বহনকারী ট্রাকগুলির উপর কঠোর নজরদারি চলছে। এমনকি, নিরাপত্তা বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যথায় দাম আরও বাড়তে পারত বলেই মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী আসার আগে আলুর দাম কেজি প্রতি ১০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।
রেবেকা গ্যাংমেই, যিনি তামেংলং জেলায় একটি রেশন দোকান চালান বলেছেন, “প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম, বিশেষ করে চালের দাম আকাশচুম্বী। যদিও আমাদের জেলায় কোনো হিংসা হয়নি। শুধুমাত্র মাংসের দামে কোনও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি, কারণ এটি অন্য রাজ্য থেকে আমদানি করা হয় না এবং শুধুমাত্র স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়।”