বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেশজুড়ে পেট্রোল-ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির ( Petrol – Diesel Price Hike ) ফল ভোগ করছে সাধারণ মানুষ। এর ফলে হাঁসফাঁস করতে হচ্ছে সকলকেই। এবার গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে উঠতে চলেছে বহুল ব্যবহৃত ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি। ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই মূল্য বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে।
এই তালিকায় যে ওষুধগুলি রয়েছে, তার মধ্যে অত্যাবশ্যকীয় কয়েকটি হল সাধারণ বেদনানাশক, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিইনফেক্টিভ, হার্টের ওষুধ। দাম বাড়তে পারে প্যারাসিট্যামলেরও ( Paracetamol )। তবে এতেও খুশি নয় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা গুলি। তাদের দাবি, কাঁচামালের দাম যে হারে বাড়ছে, তাতে অন্তত ওষুধের দাম ২০ শতাংশ বাড়ানো প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে কেন্দ্রীয় সরকার পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির সূচক ( WPI ) ০.৫ শতাংশ পরিবর্তন করেছে। যার জেরেই এই মূল্যবৃদ্ধি। তবে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা গুলি ২০ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখা যাচ্ছে যে, প্যারাসিটামলের মত একাধিক ওষুধের কাঁচামালের ( Medicine Raw Material ) মূল্য লাগামছাড়া হারে বৃদ্ধি ( Price Hike ) পেয়েছে। তাই অনন্ত ২০ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির দাবি তাদের।
এদিকে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও মোদী সরকারের ( Modi Govt ) নীতিকে কাঠগোড়ায় দাঁড় করাচ্ছে বিরোধীরা। জানিয়ে দি, ওষুধের কাঁচামালের অনেকাংশ আমদানি হয় চীন থেকে। আর ভারত-চীন সীমান্ত ( India – China ) বিবাদের জেরে চীনের তরফে বাড়ানো হয়েছে ওই সমস্ত কাঁচামালের মূল্য। এমনকি ভারতের তরফে যে কাঁচামালগুলি বিদেশে রপ্তানি করা হয়,তারও মূল্য চীন কমিয়ে দিয়েছে। যাতে এর সরাসরি প্রভাব পড়ে ভারতের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির উপর। অথচ, সরকারের পক্ষ থেকে এই বিবাদের কূটনৈতিক পথে মীমাংসা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।