বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসি (SSC), প্রাথমিক টেট (Primary Tet), গ্রুপ ডি-র পাশাপাশি অন্যান্য একাধিক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় সরগরম বঙ্গ রাজনীতি আর এর মাঝেই এবার বড়সড় পদক্ষেপ নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই প্রাথমিকে চাকরি সংক্রান্ত নয়া নির্দেশিকা জারি করল তারা।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে স্কুল সার্ভিস কমিশন থেকে প্রাথমিক টেট সহ অন্যান্য একাধিক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসে চলেছে। সিবিআই এবং ইডির তদন্ত মাঝে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, অশোক সাহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্যরা জেলে। এই পরিস্থিতিতে ২০১৪ এবং ২০১৭ টেট পরীক্ষা নিয়েও একের পর এক প্রশ্নচিহ্ন প্রকাশ্যে এসেছে।
সম্প্রতি ২০১৭ টেট পরীক্ষার দ্বিতীয় তালিকাকে বেআইনি বলে ঘোষণা করে উক্ত তালিকায় ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরবর্তীতে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেলেও কোন লাভ হয়নি। তবে এরপর সুপ্রিম কোর্টে দারস্থ হওয়ার পর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত আর এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে নয়া নির্দেশিকা জারি করে জানানো হলো, “প্রাথমিকে ২৬৮ জন আপাতত কাজ করতে পারবেন, যতক্ষণ না মামলা শেষ হচ্ছে।”
এক্ষেত্রে সম্প্রতি ফের একবার সুপ্রিম কোর্টের নিকট দারস্থ হন ওই ২৬৮ জন চাকুরীজীবী আর অবশেষে সেই মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই নয়া নির্দেশিকা জারি করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। একইসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ২০১৭ সালের সকল টেট উত্তীর্ণদের নম্বর পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে শিক্ষা পর্ষদ। ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের চাকরির জন্য আবেদন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীরা দাবি করে, ‘টেট পরীক্ষায় নম্বর প্রকাশ করা হোক।’ আর এবার তাদের সেই দাবি মেনে অবশেষে ২০১৭ সালের সকল প্রার্থীর নম্বর প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। একইসঙ্গে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের নম্বরও দ্রুত প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।