বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাজার হাজার প্রাথমিক শিক্ষকে (Primary Recruitment Case) স্বস্তি দিয়ে সম্প্রতি টেট মামলায় বড় রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। হাই কোর্টের (Calcutta High Court) প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় খারিজ করে বুধবার প্রাথমিকের ৩২০০০ মামলায় বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের বেঞ্চে জানাল প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বহাল থাকছে।
আগেভাগেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ পর্ষদ | Primary Recruitment Case
হাই কোর্টের এই রায় সামনে আসতেই এর বিরোধীতা করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করার কথা শোনা যাচ্ছে। এই আবহেই বড় পদক্ষেপ করল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করা হলে যেন একতরফা শুনানি না-হয়, সুপ্রিম কোর্টে আগেভাগে সেই আর্জি নিয়ে হাজির পর্ষদ।
শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতে পর্ষদের তরফে একটি ক্যাভিয়েট দাখিল করা হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কোনও মামলা হয়নি ঠিকই কিন্তু আগামী সপ্তাহেই ‘বঞ্চিত’ চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ এই নিয়ে সুপ্রিম দুয়ারে যেতে পারে বলে সূত্রের খবর। তাই আগেভাগেই তৎপর পর্ষদ।
২০২৩ সালের ১২ মে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে পর্যবেক্ষণে জানায়, এভাবে ৯ বছর পর একসঙ্গে এতজনের চাকরি কেড়ে নেওয়া হলে শিক্ষা ব্যবস্থায় বিপর্য়য় নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
মূলত ৩২০০০ শিক্ষকের পরিবারের কথা ভেবে মানবিক কারণে চাকরি বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। এই নিয়েই শুরু হয়েছে বিরোধীতা। সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অনেক সময় সর্বোচ্চ আদালতে মামলা হলে একতরফা ভাবে তার শুনানি হয়ে যায়। এক্ষেত্রে যাতে তা না হয়, তাই আগেই ক্যাভিয়েট দাখিল করে রাখল পর্ষদ।

আরও পড়ুন: উত্তরকে টেক্কা! দক্ষিণবঙ্গে ১০ ডিগ্রির নিচে নামবে তাপমাত্রা? ভয় ধরানো আপডেট দিল আবহাওয়া দপ্তর
এ বিষয়ে পর্ষদের বক্তব্য, এই সংক্রান্ত মামলা হলে যেন তাদের বক্তব্যও শোনা হয়। সুপ্রিম কোর্টে মামলা হলে পর্ষদকেও নোটিস দেওয়া হবে। সুতরাং তারাও নিজেদের বক্তব্য জানানোর সুযোগ পাবে। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয় কি না, হলে কোন মোড় নেয় সেদিকে নজর থাকবে।












