বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল বর্তমানে জেলবন্দি। গরু পাচার মামলায় নাম জড়িয়েছে তাঁর। দীর্ঘদিন জেলের চার দেওয়ালের মধ্যেই জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। এর মাঝেই সামনে এল বড় খবর। এবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Primary Recruitment Scam) নাম জড়াল কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ একজনের। সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে এমনটাই।
প্রাথমিক দুর্নীতিতে (Primary Recruitment Scam) নাম জড়াল কোন অনুব্রত-ঘনিষ্ঠের?
CBI সূত্রে জানা যাচ্ছে, গরু পাচারের সিবিআই এবং ইডি মামলায় জেল হেফাজতে থাকা কেষ্ট ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ওই ব্যক্তিকে বেশ কয়েকবার দিল্লিতে ডেকে জেরা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে দাবি, ওই ব্যক্তির বেশ কয়েকটি বেসরকারি ডিএলএড, বিএড, নার্সিং, মেডিক্যাল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ আছে। সম্প্রতি আবার ভিন রাজ্যে একটি মেডিক্যাল কলেজ খুলেছেন তিনি।
জানা যাচ্ছে, ২০১১ সালের পর বেসরকারি ডিএলএড এবং বিএড কলেজের কর্ণধারদের নিয়ে একটি সংগঠন বানানো হয়। বীরভূমের শাসক দলের একজন নেতা উক্ত সংগঠনের পদাধিকারী ছিলেন। শুধু তাই নয়, কেষ্ট (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ ওই ব্যক্তি শুরু থেকে ওই সংগঠনের অংশ ছিলেন বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ বন্ধ হচ্ছে না ট্রাম, তবে…! বিরাট সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের! ‘ফাঁস’ হতেই তুমুল শোরগোল
সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, পদাধিকারী ওই নেতাকে একাধিকবার তলব করে জেরা কর হয়েছে। এমনকি তাঁর বীরভূমের বাড়িতেও হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তবে ২০১৭ সালে ওই নেতার বদলে সংগঠনের সভাপতির পদে আসীন হন তাপস মণ্ডল। এই মুহূর্তে প্রাথমিকের মামলায় (Primary Recruitment Scam) তিনি জেলবন্দি।
তদন্তকারী আধিকারিকদের কথায়, তাপস এবং ওই নেতাকে জেরা করার পর কেষ্ট ঘনিষ্ঠ ওই ব্যক্তির সম্বন্ধে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যায়। এমনকি তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ ছিলেন বলেও প্রমাণ পাওয়া যায় বলে খবর।
ওই সূত্র জানাচ্ছে, সম্প্রতি তদন্তকারীরা জানতে পারেন, বীরভূমের একাধিক চাকরিপ্রার্থী অর্থের বিনিময়ে ঘুর পথে চাকরি পেয়েছে। ইতিমধ্যেই দেড় হাজারের বেশি অযোগ্য প্রার্থীকে এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তখন ফের কেষ্ট ঘনিষ্ঠ ওই ব্যক্তির নাম সামনে আসে বলে খবর। CBI সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ফের নোটিশ দিয়ে ওই ব্যক্তিকে তলব করা হবে।