বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজ সকালেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে বাঁকুড়া। এর পরেই তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাঁকুড়ার রঘুনাথপুর। এক প্রাথমিক স্কুলশিক্ষককে গণপিটুনি দিলো অভিভাবকরা। ঘটনাটি ঘটেছে রঘুনাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় হাসপাতালে তার চিকিৎসার বন্দোবস্তও করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার ডিঙ্গেররন গ্রামের বাসিন্দা ওই নাবালিকা। রঘুনাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে সে। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে মিড ডে মিলের জিনিসপত্র নিতে স্কুলে যায় ওই ছাত্রী। অভিযোগ, সেই সময়ই প্রাথমিক শিক্ষক মুরারি মোহন মণ্ডল তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। শ্লীলতাহানিও করে তার। এমনকি তার পোশাক ছিঁড়ে দেয় বলেও অভিযোগ। কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফেরে নাবালিকা ছাত্রী। প্রথমে কান্নাকাটির কারণ জানতে চায় তার মা। প্রাথমিক শিক্ষকের এই আচরণের কথা মাকে জানায় সে।
বুধবার সকালেই নাবালিকার পরিবারের লোকজন স্কুলের সামনে পৌঁছে যান। অন্যান্য পড়ুয়াদের অভিভাবকরাও উপস্থিত হন ঘটনাস্থলে। ওই শিক্ষককে ঘিরে ধরেন তাঁরা। সকলে বেধড়ক মারধরও করেন বলে জানা যাচ্ছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে কোতুলপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
কোতুলপুর থানার ওসি জানান এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার লিখিত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। বিষ্ণুপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিকও এই বিষয়ে বিশেষ কিছুই বলেননি। তিনি শুধুমাত্র জানান, ‘এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে আমরা ঘটনাটি শুনেছি। সেই অনুযায়ী তদন্তও শুরু হয়েছে। আহত প্রাথমিক শিক্ষকের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।’ পুরো ঘটনার যথেষ্ট উদ্বেগ ছড়িয়েছে রঘুনাথপুর এলাকায়।