‘দিদি কিছু বলতে চাই”, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা চলাকালীন প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশন থেকে প্রাইমারি টেট দুর্নীতির মামলার দরুণ ক্রমশ দেওয়ালে পিঠ ঠেকে চলেছে শাসকদলের। ইতিমধ্যে এই মামলায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস দলের বহু নেতাকর্মীর। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়। আপাতত মামলাগুলি সিবিআইয়ের  তদন্তাধীন হলেও যতদিন এগোচ্ছে, ততোই যেন বিতর্ক বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। এমনকি এদিন বিতর্কের সেই আঁচ পৌঁছে গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা মঞ্চে।

এদিন বর্ধমানের গোদার মাঠে সরকারি কর্মসূচি উপলক্ষ্যে বক্তৃতা দিতে ওঠেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, মঞ্চে যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, ঠিক সেই সময় হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে মঞ্চের নিচে উপস্থিত হন বেশ কয়েকজন মহিলা চাকরিপ্রার্থী। প্ল্যাকার্ডের মধ্যে লেখা থাকে, ‘দিদি কিছু বলতে চাই’,  ‘দিদি কিছু বলুন’। সেই সকল মহিলারা চাকরি দেওয়ার দাবিতে এক প্রকার বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। যদিও পরবর্তীকালে তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ এবং তাদেরকে সেখান থেকে সরানো পর্যন্ত হয়।

জানা গিয়েছে, বক্তৃতা চলাকালীন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সোমা কর এবং স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায় ভট্টাচার্য। এরা প্রত্যেকেই 2014 সালে প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় পাশ করলেও এখনো পর্যন্ত শিক্ষকতার চাকরি মেলেনি বলে অভিযোগ। অতীতেও আসানসোলের বাসিন্দা সোমা কর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন বলে জানা গিয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে তাঁর হাত পর্যন্ত ভেঙে যায়। এদিন অবশ্য বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।

tet 1

বক্তৃতা শেষে তাদের সঙ্গে অনেকক্ষণ ধরে কথা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। এই প্রসঙ্গে আন্দোলনকারীরা বলেন, “আমরা অন্যায়ের শিকার হয়েছি। টেট পরীক্ষায় পাশ করলেও আমাদেরকে ইচ্ছাকৃতভাবে চাকরি দেয়নি পর্ষদের চেয়ারম্যান মানিকবাবু। তবে মুখ্যমন্ত্রী আমাদেরকে আজ ভরসা জুগিয়েছেন। তিনি আমাদেরকে আদালতে মামলা পর্যন্ত করতে বলেছেন।” তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পর তারা বিচার পান কিনা, সেটাই দেখার।


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর