বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে (Primary Teachers Recruitment) এ বার রাজ্যজুড়ে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে, আর হিসেব বলছে প্রায় ৬০ হাজার চাকরি প্রার্থী আবেদন করেছেন। কিন্তু এর তুলনায় শূন্যপদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কম, মাত্র ১৩,৪২১। এই কারণেই আবেদনকারীদের একাংশ অতিরিক্ত ১০ হাজার শূন্যপদ বাড়ানোর দাবি তুলেছেন।
ডিসেম্বরের শেষে শুরু ইন্টারভিউ (Primary Teachers Recruitment)
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই শুরু হতে পারে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। ২০২২ সালের পরে এটাই প্রথম বড় নিয়োগ (Primary Teachers Recruitment)। এর আগের নিয়োগে সুযোগ পেয়েছিলেন ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণেরা। কিন্তু ২০২২ ও ২০২৩ সালের টেট উত্তীর্ণ এবং ডিএলএড প্রশিক্ষিত প্রার্থীরা এতদিন পর্যন্ত ইন্টারভিউর সুযোগ পাননি। এবার তাঁরাও প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে।
ভিডিওগ্রাফি বাধ্যতামূলক, ইন্টারভিউ হবে কেন্দ্রীয়ভাবে
এইবার প্রাথমিক নিয়োগের (Primary Teachers Recruitment) ইন্টারভিউ হবে পুরোপুরি কেন্দ্রীয় ভাবে। সকল প্রার্থীকে সল্টলেকের অফিসে গিয়ে সরাসরি ইন্টারভিউ দিতে হবে। পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্রতিটি ইন্টারভিউ ভিডিওগ্রাফি করা হবে। আঞ্চলিক স্তরে ভিডিওগ্রাফি করা সম্ভব না হওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইন্টারভিউ নেওয়ার পর নম্বর কাগজে লেখা হবে না। সরাসরি অনলাইনে আপলোড করা হবে, যাতে কোনও অভিযোগ বা আইনি জটিলতা তৈরি না হয়।
গতবারের তুলনায় আবেদন বেশি
২০২২ সালের পরে এ বারই প্রথম বড় নিয়োগ (Primary Teachers Recruitment)। তাই গতবারের তুলনায় আবেদন জমা পড়েছে অনেক বেশি। রাজ্যের প্রতিটি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের জন্য পর্ষদ মোট প্রায় ৬০ হাজার আবেদন গ্রহণ করেছে। আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পর্ষদ ইন্টারভিউর প্রস্তুতি শুরু করেছে।

আরও পড়ুনঃ “আদালত অবমাননা আইন বিচারকদের ঢাল নয়”, কোন মামলায় এমন কড়া মন্তব্য শীর্ষ আদালতের?
ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই সম্ভাবনা জোরালো যে প্রার্থীদের একে একে সল্টলেকে ডেকে ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। জানানো হয়েছে যে, প্রত্যেকের ইন্টারভিউ রেকর্ড রেখে পুরো প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ রাখাই পর্ষদের মূল লক্ষ্য (Primary Teachers Recruitment)।












