বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে যখন বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো’-র সমাপ্তি ঘটে কালীপুজোর জন্য তৈরি হয়ে উঠছে মহানগরী, সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে অপরদিকে রাতের পর রাত অবস্থান বিক্ষোভে বসে প্রতিবাদ করে চলেছেন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা শহরের দুই প্রান্তে দুই ভিন্ন চিত্র ধরা দিয়ে চলেছে ক্রমাগত! সেই ধারা বজায় রেখে গতকাল থেকে সল্টলেক (Saltlake) এপিসি ভবনের সামনের রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে চলেছেন ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, “পরীক্ষায় পাশ করা সত্ত্বেও আমাদের নিয়োগ করা হয়নি। দ্রুত চাকরি চাই।”
উল্লেখ্য, প্রাথমিক টেটের পাশাপাশি এসএসসি এবং অন্যান্য নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। দিনের পর দিন প্রতিবাদ বিক্ষোভে বসে চলেছে অসংখ্য যুবক-যুবতীরা। তাদের কাতর আবেদন, ‘দ্রুত নিয়োগ করা হোক।’ সেই দাবিতে গতকাল সকাল হতেই সল্টলেক এপিসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনে বসে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থীরা।
গতকাল সকল পরীক্ষার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের সামনে প্রতিবাদ দেখাতে পারেন, এহেন খবর সামনে উঠে আসতেই আঁটোসাঁটো করা হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করার পাশাপাশি বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ তুলে দেওয়ার প্রার্থনা করা হলেও পুলিশের কোন কথাতেই কর্ণপাত করেননি বিক্ষোভকারীরা। পরবর্তীতে দুপুর হতে সন্ধ্যা এবং রাতভর চলে সেই আন্দোলন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, চাকরি নিয়েই বাড়ি ফিরবেন তারা!
বঞ্চিত চাকরির প্রার্থীদের মাঝে একজন বলে ওঠেন, “২০১৭ সালে যারা টেট পরীক্ষার্থী ছিল, তাদের সঙ্গে যদি আমাদের প্রতিযোগিতা করা হয়, তাহলে পিছিয়ে যাব। বারংবার ইন্টারভিউ দেওয়া সত্ত্বেও চাকরি মেলেনি। বর্তমানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে, সেখানে আমরা অংশগ্রহণ করব না। কারণ, সেই বিজ্ঞাপনে অসংখ্য ভুল রয়েছে।”
অপর এক চাকরিপ্রার্থীর কথায়, “২০১৪ সালে টেট পাশ করি আমরা। এরপর ধাপে ধাপে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হলেও পরবর্তীতে দুর্নীতির একের পর এক ঘটনা সামনে আসে। মানিক ভট্টাচার্য বেআইনিভাবে নিয়োগ করাতে থাকেন; যতক্ষণ না আমাদের চাকরি দেওয়া হয়েছে, ততক্ষণ বাড়ি ফিরব না।”
প্রসঙ্গত, গতকালের এই বিক্ষোভের ফলে এপিসি ভবন থেকে বের হতে পারেননি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালসহ আরো অনেকেই। এক্ষেত্রে পুলিশের তরফ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করার পাশাপাশি চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশ্যে আন্দোলন তুলে নেওয়া প্রসঙ্গে একাধিকবার আবেদন করা হলেও তাদের পাল্টা দাবি, ‘আমাদের নিয়োগ চাই।’