বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission) দুর্নীতি নিয়ে ক্রমশ দেওয়ালে পিঠ ঠেকে চলেছে রাজ্যের শাসকদলের আর এর মাঝে প্রাথমিক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগটিও ক্রমশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সম্প্রতি এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট দ্বারা তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হয় আর এর মাঝে এই দুর্নীতিতে শাসকদলের আরও এক নেতার নাম উঠে এলো। পরিবারের লোককে বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূল যুব নেতার বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, 2014 এবং 2017 সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বেআইনিভাবে বহু জনকে চাকরি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এক্ষেত্রে, চাকরিপ্রার্থীদের সুযোগ না দিয়ে শাসকদলের ঘনিষ্ঠদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়। আর এসবের মাঝে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার তৃণমূল যুব নেতার বিরুদ্ধে উঠল এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ।
অভিযোগ, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার তৃণমূল যুব নেতা সাগর মণ্ডলের পরিবারের মোট 8 জন চাকরি পেয়েছেন। এক্ষেত্রে 2014 সালে চার জন প্রাথমিক টেটে নিয়োগ পান এবং অপর চার জনের নাম 2017 মেধা তালিকা রয়েছে। তবে শুধু পরিবারের লোককে চাকরি করে দেওয়া নয়, এলাকায় বহু মানুষকে টাকার বিনিময় বেআইনিভাবে চাকরি দিয়েছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, 2014 সালের পরীক্ষায় তৃণমূল যুব নেতার দিদি, দুই ভাই এবং বৌমা নিয়োগ পায় এবং অপর পরীক্ষায় তাঁর স্ত্রী, ভাইয়ের বউ, ভাগ্নের নামও উঠে আসে মেধা তালিকায়। তবে বর্তমানে সবচেয়ে বড় যে অভিযোগটি সামনে উঠে এসেছে, তা হল তৃণমূলের এই যুব নেতার নাকি ঘনিষ্ঠতা রয়েছে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক এবং প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে!
প্রসঙ্গত, বর্তমানে অভিযোগের তিরে থাকা ব্যক্তিদের নাম হল রমা মণ্ডল, শ্যামল মণ্ডল, অমল মণ্ডল, মধুমিতা চন্দ, মুনমুন ঘোষ, প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল, সৌরভ ঘোষ এবং পায়েল সাঁই। শাসকদলের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ ওঠার পরে স্বভাবতই তাদেরকে কটাক্ষ করেছে বিরোধী দলগুলো। তবে যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, সেই সাগর মণ্ডলের ফোন বর্তমানে বন্ধ রয়েছে বলে খবর।