বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে G-20 শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তার আগে পিটিআইকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকার (Interview) দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) নরেন্দ্র মোদি বলেছেন যে ভারতের (India) G-20 সভাপতিত্ব অনেক ইতিবাচক ফলাফল দিয়েছে এবং এর মধ্যে কিছু “আমার হৃদয়ের খুব কাছাকাছি”। বিশ্বের জিডিপি-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি এখন মানবকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তিত হচ্ছে। ভারত এক্ষেত্রে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ বিশ্ব কল্যাণের জন্য একটি মার্গদর্শী সিদ্ধান্ত হতে পারে।
এখানে দুর্নীতি ও সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেইঃ প্রধানমন্ত্রী মোদি সাক্ষাৎকারে বলেন, ভারত ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হবে। আমাদের জাতীয় জীবনে দুর্নীতি, জাতপাত ও সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান হবে না। বিশ্ব G-20-এ আমাদের কথা এবং পদ্ধতিকে শুধুমাত্র ধারণা হিসেবে নয়, ভবিষ্যতের জন্য একটি রোডম্যাপ হিসেবে দেখেছে। বহুকাল ধরে ভারতকে এক বিলিয়ন ক্ষুধার্তর দেশ হিসাবে দেখা হত, এখন এটি এক বিলিয়ন উচ্চাভিলাষী মন এবং দুই বিলিয়ন দক্ষ হাতের দেশ।
পাক-চীনের আপত্তি প্রত্যাখ্যানঃ প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, আজ ভারতীয়দের কাছে উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপনের একটি দুর্দান্ত সুযোগ রয়েছে যা আগামী এক হাজার বছর ধরে স্মরণ করা হবে। এক দশকেরও কম সময়ে পাঁচটি স্থান লাফানোর কৃতিত্বের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, অদূর ভবিষ্যতে ভারত বিশ্বের শীর্ষ তিনটি অর্থনীতির মধ্যে থাকবে। কাশ্মীর এবং অরুণাচল প্রদেশে G20 বৈঠক আয়োজনে পাকিস্তান ও চীনের আপত্তি প্রত্যাখ্যান করে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, (ভারতের) প্রতিটি অংশে বৈঠক করা ‘স্বাভাবিক’।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী?: একইসঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সংঘাত মেটানোর একমাত্র উপায় সংলাপ এবং কূটনীতি। এছাড়াও, সাইবার অপরাধের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে, সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বৈশ্বিক সহযোগিতা কেবল কাম্য নয়, অনিবার্যও।