বাংলা হান্ট ডেস্ক: ফের আশাভঙ্গ পাকিস্তানের (Pakistan)। সম্প্রতি সৌদি আরবের (Saudi Arabia) যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান G-20 সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে (India) এসেছিলেন। তবে, ওই সম্মেলনের পর তাঁর সফর ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরে পরিণত হয়েছে। এদিকে, সৌদি থেকে ভারতে আসার সময়, পাকিস্তান আশা করেছিল যে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ওই দেশে যাবেন। কিন্তু তা হয়নি। এরপর পাকিস্তানি আধিকারিকরা আশা করছিলেন সম্ভবত তিনি ভারত থেকে ফিরে ইসলামাবাদে আসবেন। কিন্তু পাকিস্তানের সেই আশাও ভেস্তে গেছে। কারণ, পাকিস্তানে যাবেন না তিনি।
মূলত, পাকিস্তান চেয়েছিল যুবরাজ মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্যে হলেও ইসলামাবাদে আসুন। এদিকে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বেশিরভাগ দেশ পাকিস্তান থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছে। যদিও, এখনও উপসাগরীয় দেশগুলি রয়েছে যারা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখছে। সৌদির যুবরাজ যখন ২০১৯ সালে ভারত সফরে এসেছিলেন তখন তিনি পাকিস্তানেও গিয়েছিলেন। পাকিস্তানি আধিকারিকরা উদ্বিগ্ন ছিলেন যে, যুবরাজ ইসলামাবাদে না এলে তা জনগণের ক্ষোভের কারণ হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বৈঠক: যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী সোমবার দিল্লিতে একাধিক বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা করেন। এই প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এক্স মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, দুই নেতা শক্তি নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এর আগে সোমবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে যুবরাজকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয়। তাঁর সঙ্গে দেখা করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও।
আরও পড়ুন: এই কাজটি না করলেই পড়বেন মহা বিপদে! মোবাইল ব্যবহারকারীদের চূড়ান্ত সতর্ক করল সরকার
ভারত থেকে ইউরোপ করিডোর: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, সৌদি আরবের যুবরাজের এই সফর এমন একটা সময়ে হল যখন গত শনিবার ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডোরের ঘোষণা করা হয়েছে। এই করিডোরকে চিনের জন্য একটি বড়সড় ধাক্কা হিসেবেও অনুমান করা হচ্ছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই করিডোর ভারতকে সরাসরি ইউরোপের সঙ্গে যুক্ত করবে।
আরও পড়ুন: ২২ বছর বয়সে খাড়া করেন কোম্পানি! ২৯ বছর বয়সে হল ১১,১৯৬ বছরের জেল, এই যুবকের কাহিনী অবাক করবে
এমতাবস্থায়, এটিকে চিনের “বেল্ট অ্যান্ড রোডের” বিকল্প হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে, এই করিডরের ঘোষণা পাকিস্তান পছন্দ করবে না। কারণ, এখনও পর্যন্ত ভারত পাকিস্তানের কাছ থেকে রাস্তা চাইত। যাতে সড়কপথে আফগানিস্তান থেকে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে পৌঁছনো যায়। তাই, এই করিডোর ভারতের কাজকে আরও সহজ করতে চলেছে।