বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি মহাকাশযান অগ্নিবাণের (Agniban) পরীক্ষামূলক সফল উৎক্ষেপণ করে নজির গড়লো ভারতের বেসরকারি স্টার্টআপ সংস্থা অগ্নিকুল কসমস (Agnikul Cosmos)। মূলত দেশীয় প্রযুক্তির ওপর জোর দিতেই এই মহাকাশ যানটি তৈরী করেছে চেন্নাইয়ের এই বেসরকারি সংস্থা।
অগ্নিকুল এদিন নিজেদের তৈরি মহাকাশযানটির পরীক্ষামূলকভাবে সফল উদক্ষেপণ করায় অন্যান্য বেসরকারি সংস্থাগুলির জন্য মাইল ফলক তৈরী করেছে বলে জানিয়েছে ISRO। বৃহস্পতিবার সকালে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরি কোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে রকেটের উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, এই রকেটটি উৎক্ষেপণের সময়েও দেশের প্রথম বেসরকারি লঞ্চপ্যাড ALP-01 ব্যবহার করেছে অগ্নিকূল। এদিন এই বেসরকারি সংস্থাটি সেমি ক্রায়োজেনিক 3D প্রিন্টেড ইঞ্জিন নির্ভর ওই মহাকাশযানটির উৎক্ষেপণ করেছিল মাত্র দু’মিনিটে।যদিও এর আগে ৪ বার উৎক্ষেপণের চেষ্টা করা হয়েছিল। যা ব্যর্থ হওয়ার পর পঞ্চমবারে উৎক্ষেপণ সফল হয়।
প্রথমে ৭ এপ্রিল অগ্নিবাণ মহাকাশযানটির উৎক্ষেপণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেওয়াতা ভেস্তে যায়। বৃহস্পতিবার কোনরকম লাইভ স্ট্রিমিং ছাড়াই পরীক্ষামূলকভাবে এই রকেট উৎক্ষেপন করা হয়েছে। এই সফল উৎক্ষেপণের জন্য অগ্নিকুল কসমসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি এক্স বার্তায় ইসরো লিখেছে,’লঞ্চপ্যাড থেকে Agnibaan SorRTed-01-এর সফল উৎক্ষেপণের জন্য Agnikul Cosmos-কে অভিনন্দন। সেমি ক্রায়োজেনিক লিকুই ইঞ্জিন নির্ভর রকেটের প্রথম নিয়ন্ত্রিত উড়ানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক তৈরি হল’।
আরও পড়ুন: পানীয় জলের আকাল, হাহাকার শিলিগুড়িতে! মেয়রের গাড়ি আটকে চোর স্লোগান
এই অগ্নিবাণ মহাকাশযানটির আরও একটি বিশেষত্ব হলো এর ইঞ্জিনটি তরল এবং গ্যাস প্রপেলেন্টের মিশ্রণ সহ একটি সেমি-ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। যা ওজনের দিক দিয়েও অত্যন্ত হালকাএবং এটি তৈরিতেও খরচও অনেক কম হয়। তাছাড়া এই রকেট ইঞ্জিনে বেশি জ্বালানি খরচ-ও হয় না।
Congratulations @AgnikulCosmos for the successful launch of the Agnibaan SoRTed-01 mission from their launch pad.
A major milestone, as the first-ever controlled flight of a semi-cryogenic liquid engine realized through additive manufacturing.@INSPACeIND
— ISRO (@isro) May 30, 2024
সাধারণত মহাকাশ অভিযানের কথা উঠলেই রকেট উৎক্ষেপণের জন্য খরচ হয় কোটি কোটি টাকা। সেখানে এই বেসরকারি সংস্থাটি একেবারে অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছে। এই রকেটের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল এটি প্রায় ৭০০ কিলোমিটার কক্ষপথে ৩০০ কেজি পর্যন্ত এটি পেলোড বহন করতে পারবে।