বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার ইডির সামনে চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করলেন ইয়েস ব্যাঙ্কের সহ প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপুর। ইডির চার্জশিট অনুযায়ী, রানা কাপুর দাবি করেন যে তিনি কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা ভাদ্রার (গান্ধী) কাছ থেকে এম এফ হুসেনের একটি চিত্র কিনতে বাধ্য হন। মুম্বাইয়ের একিটি বিশেষ আদালতে দাখিল করা দ্বিতীয় সম্পূরক চার্জশিট থেকে এই তথ্য উঠে এসেছে।
রানা কাপুর বলেন, ‘প্রয়াত কংগ্রেস নেতা মুরলি দেওরা ওই পেন্টিংটি ২ কোটি টাকায় কেনার জন্য একাধিকবার ফোন করেন। তিনি আমাকে বলেন, এই পেন্টিংটি যদি আমি কিনে তাহলে পদ্মভূষণ পেতে পারেন। তিনি আরও বলেছিলেন ওই পেন্টিং থেকে প্রাপ্ত অর্থ নিউইয়র্কে কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হবে।’
রানা কাপুর জেরায় গান্ধী পরিবারের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন, ‘এই পেন্টিং কেনার চুক্তিতে আমি আগ্রহী ছিলাম না। আমি নেতাদের ফোন এবং মেসেজ উপেক্ষা করার চেষ্টা করি। শেষ পর্যন্ত আমার নিজের এবং পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়েই চুক্তিটিতে সই করতে হয়। কারণ আমি মুরলি দেওরা এবং গান্ধী পরিবারের সঙ্গে কোনওরকম শত্রুতায় জড়াতে চাইনি।
এখানেই শেষ নয়। চুক্তিটি হওয়ার পর অপর এক কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল রানা কাপুরকে বলেন, ‘আপনি দুর্দান্ত এক কাজ করেছেন, পদ্ম পুরষ্কারের জন্য আপনার নাম প্রস্তাব করা হবে।’ এমনটাই দাবি করেছেন ইয়েস ব্যাঙ্কের কর্তা। বিরক্ত হয়েই ২ কোটি টাকার একটি চেক কংগ্রেস নেতাদের দেন রানা। প্রিয়াঙ্কা ভাদ্রার বাড়িতেই হয় পুরো লেনদেনটি। গান্ধী পরিবার উপহারে পাওয়া জিনিস গুলিও বিক্রি করে বলেই অভিযোগ এনেছেন রানা কাপুর।
এহেন ঘটনা সামনে আসার পরই তুমুল শোরগোল জাতীয় রাজনীতিতে। ঘটনার জেরে যে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে বিরোধী শিবির তা আর নতুন করে বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না। সামনেই লোকসভা ভোট। এরই মধ্যে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ যে ভোটের আগে দলের ভাবমূর্তির জন্য মোটেও ভালো হবে না তেমনটাই মত পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের।