ভারতের আইন দিল বিচার, উপর থেকে হাসল প্রিয়াঙ্কার আত্মা, এনকাউন্টার ঝাঁজরা হলো ধর্ষণকারীর দেহ

 

অমিত সরকারঃইনকাউনটার শুট আউট এই কথাগুলোর সাথে আমাদের হিন্দি ছবির অনেকটা মিল। সিনেমায় একের পর এক গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় দুষ্কৃতীদের দেহ। কিন্তু এবার কোন রিল লাইফ নয়। প্রকৃত বাস্তবের মাটিতে লুটিয়ে পরল পাশবিক ধর্ষণকারীদের দেহ। নিয়ে সকালবেলা অনেক চক্ষু চড়কগাছ। কিন্তু হ্যাঁ ভারতের আইন পারে না এমন কিছু নেই। যা সত্যি ভারতের সংবিধানের ওপর ভরসা রাখতে শেখায় ভারতীয় নাগরিকদের।
বুধবার  রাত ৯টা ২০ নাগাদ, হায়দরাবাদে এনএইচ ৪৪-এর ওপর পেশায় পশুচিকিৎসক ওই ২৬ বছরের তরুণীর স্কুটির চাকা পাংচার করে দিয়েছিল অভিযুক্তরা। তার পরের এক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে গণধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারে তারা। ধরা পড়ার পরে অভিযুক্তরা স্বীকার করেছে, তরুণী যাতে চিৎকার না করতে পারেন, সে জন্য তাঁর গলায় জোর করে মদ ঢেলে দিয়েছিল তারা। এমনকি তরুণীকে পোড়াতেও তাঁরই স্কুটির পেট্রোল ঢালা হয়েছিল বলেও স্বীকার করেছে তারা।

এ দিন তদন্তের জন্য ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার কাজ করছিল পুলিশ। তখনই তাদের নিয়ে যাওয়া হয় এনএইচ ৪৪-এ, যেখানে গত সপ্তাহের বুধবার তরুণী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে আগুনে পুড়িয়ে খুন করে তারা।

Hyderabad rapists killed in encounter with police

চলছিল তদন্ত, জেরা। এ সময়ে হঠাৎই চার ধর্ষক পালাতে যায় বলে দাবি করেছে পুলিশ। তখনই চালাতে হয় গুলি।ঘটনাস্থলেই মারা যায় চার ধর্ষক। প্রিয়াঙ্কার আত্মা যেভাবে জ্বলেছিল সেভাবেই লুটিয়ে পরল দেহগুলি। শান্তি পেল পিয়াংকা।ভারতের বিচার ব্যবস্থা এতটা বেহাল নয়় যে  ধর্ষকে শাস্তি দিতে পারবেনা। ভারতের বিচার ব্যবস্থা এখনো দাঁড়িয়ে আছে নিজের ক্ষমতার উপর।


সম্পর্কিত খবর