বাংলাহান্ট ডেস্কঃ উপনির্বাচনের পূর্বে জোর কদমে প্রচার চালাচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল (priyanka tibrewal)। কিন্তু এরই মধ্যে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করলেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। তাও আবার ডিসি সাউথের বিরুদ্ধে। একটি ছবি দেখিয়ে ডিসি সাউথের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করে নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠালেন বিজেপি প্রার্থী।
এই ঘটনায় শোরগোল শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে। এদিন শুধুমাত্র প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালই নয়, সেইসঙ্গে হেনস্থার শিকার হন বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumder)। প্রচাররে আলোয় আসার জন্য, বিজেপি এমন হাস্যকর অভিযোগ করছে বলে দাবী করেছে বিরোধী শিবির।
বিষয়টা হল, গত ৩ রা মে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর হামলার শিকার হন মগরাহাটের বিজেপি নেতা মানস সাহা। ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে কিছুদিন আগেই বাড়িতে ফেরেন তিনি। কিন্তু আবারও অসুস্থ হওয়ার কারণে তাঁকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শেষরক্ষা হয় না। বুধবার মারা যান বিজেপি নেতা মানস সাহা।
https://twitter.com/ChiranjitBJP/status/1441064850721968130
এই ঘটনায় গর্জে ওঠে গেরুয়া শিবির। ঠিক করা হয়, মৃত বিজেপি নেতার দেহ নিয়ে মিছিল করা হবে। সেই মর্মে প্রথমে মানস সাহার দেহ কলকাতায় এনে বিজেপির অফিসে রাখা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যের সময় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে মৃত কর্মীর দেহ নিয়ে একটি মিছিল বের করা হয়। অংশ নিয়েছিলেন অর্জুন সিং, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো-সহ অনেক নেতাই। এই মিছিল কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে এগোতেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়।
পুলিশ বাঁধা দিলে সেখানেই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিজেপি সদস্যরা। বিজেপির দাবী, সেই সময় ১৪৪ ধারা ভাঙার অভিযোগে পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি হওয়ার সময় বিজেপি মহিলা প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল এবং অন্যান্য মহিলা নেতৃত্বকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করে পুলিশ।