বাংলা হান্ট ডেস্ক: মালদ্বীপের (Maldives) নতুন প্রেসিডেন্ট (President) নির্বাচিত হলেন প্রগ্রেসিভ পার্টি অফ দ্য মালদ্বীপের (পিপিপি) নেতা মহম্মদ মইজ্জু (Mohamed Maijju)। ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন বিরোধী নেতা মহম্মদ মইজ্জু। অন্যদিকে ৪৬.২৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মহম্মদ সলিহ (Ibrahim Mohamed Solih)। পরাজয় স্বীকার করে নতুন প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে ভারতের উৎসাহ কম ছিল না। কারণ এক পক্ষ চীনাপন্থী (China), আরেক পক্ষ ভারতপন্থী (India)। তবে এক্ষেত্রে জয়ী হল চীনাপন্থী। কারণ ইব্রাহিম মহম্মদ সলিহ ভারতপন্থী ছিলেন। অন্যদিকে মহম্মদ মইজ্জু ছিলেন চীনাপন্থী।
মালদ্বীপের রাজধানী মালের মেয়র ছিলেন চীনাপন্থী এই মহম্মদ মইজ্জু। ‘ভারতকে বিদায় করো’ এই স্লোগান দিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছিলেন তিনি। অন্যদিকে, ইব্রাহিম মহম্মদ সলিহ তাঁর সময়কালে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছিলেন। তাঁর পররাষ্ট্রনীতি ছিল ‘ভারতই প্রথম’।
এদিকে জয়ের পর মইজ্জুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য মইজ্জুকে অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা। ভারত-মালদ্বীপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলে সামগ্রিক সহযোগিতা বাড়াতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
এই ভোট কার্যত ভার্চুয়াল গণভোটে পরিণত হয়েছিল। কারণ এর উপরেই নির্ভর করছিল ভারত মহাসাগর দ্বীপপুঞ্জে আধিপত্য বিস্তার করবে কে। আর চীনঘেষা ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়ায় ভারত মহাসাগরে (Indian Ocean) ভারতের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অন্যদিকে শক্তি বাড়বে চীনের।
জানা গিয়েছে, আগামী ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বভার সামলাবেন ইব্রাহিম মহম্মদ সলিহ। ওইদিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন মহম্মদ মইজ্জু। এদিন জয়ের পর তিনি বলেন, ‘আজকের ফলাফল আমাদের দেশের জন্য একটি ভালো ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার এবং মালদ্বীপের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার শক্তি দিল। এখন সময় এসেছে নিজেদের মধ্যে মতভেদ ভুলে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার। শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠন করতে হবে।’