বাংলাহান্ট ডেস্ক : সারা বাংলা জুড়ে জোর কদমে চলছে ২১ জুলাইয়ের (21 July) প্রস্তুতি। কোভিডের মহামারির আবহে বিগত দু’বছর কলকাতার ধর্মতলায় ‘শহিদ দিবস’ পালন করতে পারেনি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস (AITC)। ২০১২-এ তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর এটিই সবুজ শিবিরের সর্ববৃহৎ সভা হতে চলেছে। থাকছে নানান চমক। এরই সঙ্গে এবার শহিদ মঞ্চে হাজির থাকবেন অধ্যাপকরাও। শুক্রবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister) ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) নিজেই একথা ঘোষণা করেন। তিনি জানান,’মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) বলেছি ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে অধ্যাপকদেরও আমন্ত্রণ জানাতে চাই। দলের অধ্যাপক সংগঠনকে সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা তৈরি করতে বলেছি। সেই তালিকা মুখ্যমন্ত্রীকে দেব। আশা করছি তিনি আমাদের অনুরোধ রাখবেন।’
আমরা চাই স্বচ্ছভাবে ছাত্র নির্বাচন হোক
এদিকে, বেশ কয়েক বছর হলো কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের (TMCP) কোনও নির্বাচন হয়নি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ চায় এবছর নির্বাচন হোক। এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিট নির্বাচনের দাবি করেছে। শিক্ষামন্ত্রী এ প্রসঙ্গল বলেন , ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমি প্রতি শুক্রবার তৃণমূল ভবনে ছাত্র, শিক্ষক, ও শিক্ষাকর্মী-সহ সবার সঙ্গে কথা বলি। ছাত্র নির্বাচন নিয়েও প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। আমরা চাই স্বচ্ছভাবে ছাত্র নির্বাচন হোক। সমস্ত ছাত্র সংগঠনই সেই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। কিন্তু সমস্যা হলো এখন আবার কোভিডের বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। তাই ঠিক কবে নাগাদ ছাত্র নির্বাচন হবে তা এখনও বলা যাচ্ছে না।’ গত বার যাদবপুর এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Presidency University) ছাত্র সংসদ হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। এবার শাসক দল আশা করছে দু’টি প্রতিষ্ঠানের ছাত্র সংসদই তারা দখল করবে।
আমাদের সরকার অধ্যাপকদের সবসময়ই সম্মান করে
ওয়েস্ট বেঙ্গল কলেজ অ্যান্ড ইউনিভার্সিটি প্রফেসরস অ্যাসোসিয়েশন (ওয়েবকুপা) (WBCUPA) এবং অল বেঙ্গল স্টেট গভর্নমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন দু’টি সংগঠনই তৃণমূলপন্থী। এবার থেকে দু’টি সংগঠনই একযোগে কাজ করবে বলে জানান ব্রাত্যবাবু। তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার অধ্যাপকদের সবসময়ই সম্মান করে। আমাদের মধ্যে কোনও রকম বিভাজন নেই।’ ওয়েবকুপার সভাপতি কৃষ্ণকলি বসু জানান, সংগঠনের রাজ্যস্তরে কমিটি গঠনের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে।