বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee), তাপস পাল (Tapas Paul), অভিষেক চট্টোপাধ্যায় এবং চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, বাংলার ইন্ডাস্ট্রির চার মূর্তি। একটা সময়ে টলিউডে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন চার নায়ক। পেশাগত ক্ষেত্রে তাঁদের মধ্যে চোরা প্রতিযোগিতা যেমন ছিল, তেমনি ছিল গভীর বন্ধুত্বও। বিশেষত তাপস পাল ছিলেন সক্কলের প্রিয়।
গুরুদক্ষিণা থেকে আটটা আটের বনগাঁ লোকাল, বাংলা ছবির দর্শকদের অগুনতি উপহার দিয়েছেন তাপস পাল। তাঁর মিষ্টি হাসি, সাবলীল অভিনয় মুগ্ধ হয়ে দেখেছেন দর্শক। ক্যামেরার ওপারের মানুষটাও নাকি একই রকম সহজ সরল, হাসিখুশি ছিলেন। ইন্ডাস্ট্রিতে সবার সঙ্গেই ছিল তাঁর সদ্ভাব।
অনেকেই মনে করেন, রাজনীতিতে পা রেখে সবথেকে বড় ভুল সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলেন তাপস পাল। দীর্ঘদিনের জনপ্রিয়তা এক লহমায় ঘৃণায় বদলে যেতে দেখেছিলেন তিনি। তারপর অসুস্থতা। ২০২০-র ১৮ ফেব্রুয়ারি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তাপস পাল। তাঁর প্রয়াণ বার্ষিকীতে পুরনো দিনের কথা মনে করে মন ভার বন্ধু প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের।
একসঙ্গে একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন প্রসেনজিৎ এবং তাপস। খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন দুজনে। তাপসের সঙ্গে বন্ধুত্বের গল্প আগেও শোনা গিয়েছে ‘ইন্ডাস্ট্রি’র মুখে। তিন বছর হল চিরতরে হারিয়ে গিয়েছে সেই বন্ধু। এমন দিনে পুরনো স্মৃতি খুঁজে আবেগঘন হয়ে পড়েছেন প্রসেনজিৎ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। একসঙ্গে অভিনয় করা একটি ছবির দৃশ্যের স্টিল শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘বন্ধু, তুই শিল্পী ছিলিস। আর দেখিস, তোকে মানুষ শিল্পী হিসেবেই মনে রাখবে। আর মনে রাখবে তোর ওই হাসিটা। ভাল থাকিস বন্ধু।’
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ বলেছিলেন, তাপস পাল তাঁর খুব কাছের বন্ধু ছিলেন। কেরিয়ারের শুরুর দিকে আউটডোরের জন্য আলাদা গাড়ি পাওয়া যেত না। তখন একই গাড়িতে যেতেন দুজনে। চন্দননগরের বাড়ি থেকে তাপসকে তুলে নিলেন প্রসেনজিৎ। তারপর আবার নামিয়ে দিয়ে নিজে ফিরতেন। ওই বাড়িতে বসে খাওয়া দাওয়া করেছেন তিনি।
তাঁর মা তাপস পালকে ‘বড়ছেলে’ বলতেন। আউটডোরে গেলে বিরতি না পেলে তাপসের খাবার আলাদা করে সরিয়ে রাখতেন প্রসেনজিতের মা। বুম্বাদার অপকট স্বীকারোক্তি, তাঁদের ছোটবেলায় তাপস পাল ছিলেন তাঁদের মধ্যে সবথেকে ভাল অভিনেতা। নিজের সময়ের থেকে এগিয়ে থাকতেন তিনি।