বাংলাহান্ট ডেস্ক: দু বছরের অপেক্ষা শেষে মুক্তি পেয়েছে রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty) পরিচালিত ‘ধর্মযুদ্ধ’ (Dharmajuddho)। একঝাঁক তারকাকে দিয়ে স্টার কাস্ট সাজিয়েছেন পরিচালক। অথচ ছবি মুক্তির পরপরই নেটনাগরিকদের রোষের মুখে পড়েছে স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, সোহম চক্রবর্তী, ঋত্বিক চক্রবর্তী, পার্নো মিত্র, সপ্তর্ষি মৌলিক অভিনীত ধর্মযুদ্ধ।
হিন্দু ধর্মাবেগে আঘাতের অভিযোগ এনে বয়কটের ডাক দেওয়া রাজ পরিচালিত ছবিকে। বলিউডের দেখাদেখি টলিউডেও চলছে বয়কট ট্রেন্ড। এর মাঝেই ছবি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন ‘ইন্ডাস্ট্রি’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। রাজের ছবি দেখেছেন তিনি। কেমন লেগেছে সেটাও জানিয়েছেন টুইটে।
রাজের ভূয়সী প্রশংসা করে প্রসেনজিৎ লিখেছেন, ‘আমার মা ছিলেন আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু, পথপ্রদর্শক আলো। উনি চিরদিন আমার অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। রাজ চক্রবর্তী ধন্যবাদ ধর্মযুদ্ধ বানানোর জন্য। স্বাতীলেখা দির কী শক্তিশালী অভিনয়! শুভশ্রী, পার্নো, সোহম, ঋত্বিকের অভিনয়ও দুর্দান্ত।’ তিনি আরো লিখেছেন, সবার পারফরম্যন্স অনেকদিন মনে থেকে যাবে।
আমার মা ছিলেন আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু, guiding light…She will always be an inspiration for me. Thank you @iamrajchoco for making #Dharmajuddha! What a powerful performance by Swatilekha di! @subhashreesotwe, @parnomittra, @myslf_soham, #RitwickChakraborty-র অভিনয়-ও দুর্দান্ত।
— Prosenjit Chatterjee (@prosenjitbumba) August 16, 2022
‘ধর্মযুদ্ধ’ বয়কটের ডাক প্রথমে দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। ছবিটি মুক্তির পর ফের নেটিজেনদের একাংশ ছবিটি বয়কটের ডাক দেয়। পোস্টগুলির বক্তব্য মোটামুটি এক। এই ছবিতে হিন্দু ধর্মকে নিশানা করা হয়েছে। হিন্দুবিরোধী ছবি বলে অভিযোগ করে বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। ‘রাজ খান চক্রবর্তী’ বলে কটাক্ষ শানিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ‘সনাতন ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার সাহস এরা কোথা থেকে পায়?’
এমনি একটি পোস্টের স্ক্রিনশট তুলে রাজ পালটা টুইটে আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘ধর্মযুদ্ধ’-এ কোথাও গলা কাটা তো দূরে থাক, এক ফোটা রক্তপাতও দেখানো হয় নি। আর তোমরা সিনেমাটা না দেখেই বয়কটের ডাক দিচ্ছো? তোমরা কী ছাগল না পাগল?’
সংবাদ মাধ্যমের কাছেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পরিচালক। কেউ যদি তাঁর ছবিটা দেখে সমালোচনা করেন তবে তিনি শুনতে রাজি। কিন্তু ছবি না দেখে শুধু নাম নিয়ে এসব কথা রটালে তিনি মানবেন না। রাজের দাবি, টাকা দিয়ে এ ধরণের কাজ করানো হয়। অন্যকে কাঠি করাটাই কিছু মানুষের কাজ। ইচ্ছা করে অশান্তি সৃষ্টি করা হয় এভাবে।