বাংলাহান্ট ডেস্ক: টলিউডের ‘ইন্ডাস্ট্রি’ নাকি রাজনৈতিক জীবনে পা রাখার তোড়জোড় করছেন। সদ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। ব্যস্ত সুপারস্টারের আচমকা নবান্নে পদার্পণ নিয়ে শোরগোল পড়েছিল। তবে কি রাজনীতিতে আসার গুঞ্জনই সত্য?
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অকপট প্রসেনজিৎ। রাজনীতিতে আসার কোনো পরিকল্পনাই নেই তাঁর। নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে তাঁর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। প্রসেনজিৎ জানালেন, সময় পেলেই তাঁকে আর পরিচালক গৌতম ঘোষকে ডেকে পাঠান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইন্ডাস্ট্রির হাল হকিকতের খোঁজ নেন। এদিনও তেমনি সাক্ষাৎ ছিল।
যদিও প্রসেনজিৎ জানান, এদিন কাজের তুলনায় পারিবারিক কথাবার্তাই বেশি হয়েছে তাঁদের। প্রসেনজিৎ পুত্র তৃষাণজিতের খবরাখবর নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০ মিনিটের কথা থাকলেও প্রায় ৪০ মিনিট ধরে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দিদির অনুরোধে আমও খেয়েছেন ‘ইন্ডাস্ট্রি’।
রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না থাকলেও জগৎটা নিয়ে যে যথেষ্ট খোঁজখবর প্রসেনজিৎ রাখেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মে মাসের শুরুর দিকে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ। সেদিন বেশ কিছুক্ষণ ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়িতে ছিলেন প্রসেনজিৎ। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের সম্মুখীন হন মেয়র।
তবে তিনি স্পষ্ট জানান, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। প্রসেনজিৎ তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু। দু মাস ধরে মুম্বই তে ছিলেন তিনি। তাই শহরে ফিরেই দেখা করতে এসেছিলেন। এর মধ্যে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই বলেই জানিয়েছিলেন ফিরহাদ।
কাজের কথায় ফিরলে, সদ্য মুক্তি পেয়েছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও দিতিপ্রিয়া রায় অভিনীত ‘আয় খুকু আয়’। আগামীতে আরো কয়েকটি ছবি রয়েছে অভিনেতার হাতে। তার মধ্যে অন্যতম দেবের সঙ্গে ‘কাছের মানুষ’।