বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যের সরকারি, মডেল স্কুল এবং নিউ ইন্টিগ্রেটেড গভর্নমেন্ট স্কুলগুলিতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য। এই নিয়োগ হবে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশনের (এনসিটিই) সর্বশেষ বিধি মেনে। প্রসঙ্গত, এনসিটিই নীতি মেনে সরকারি স্কুলেও নবম-দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বিএড।
শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষা নেবে পাবলিক সার্ভিস কমিশন(পিএসসি)। তার ফলের ভিত্তিতে বাছাইয়ের পর তৈরি করা হবে তালিকা। ইন্টারভিউয়ের পর প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত মেধা তালিকা। বিকাশ ভবন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, প্রায় দেড় হাজার শূণ্যপদ রয়েছে সরকারি, মডেল স্কুল এবং নিউ ইন্টিগ্রেটেড গভর্নমেন্ট স্কুলগুলিতে (এনইজিএস)।
আরোও পড়ুন : মিলল না ফার্স্ট পজিশন! তবুও TRP লিস্টে খেল দেখাচ্ছে বঁধুয়া, দেখুন রেটিংয়ে কে কত নম্বর পেল
এগুলির মধ্যে ৩৯ টি পুরনো সরকারি স্কুল রয়েছে। ৫৫টি মডেল স্কুল রয়েছে। ৩৮ টি স্কুল রয়েছে ব্যাকওয়ার্ড রিজিয়নস গ্রান্ট ফান্ডের (বিআরজিএফ) আওতায়। রাজ্যের সার্বিক সাক্ষরতার তুলনায় যেসব জেলায় সাক্ষরতার হার কম সেইসব জেলায় তৈরি হয়েছে এই ধরনের স্কুল। জেলার যেসব প্রত্যন্ত এলাকায় সরকারি স্কুল নেই সেই সব জায়গাতেও এই ধরনের স্কুল তৈরি হয়েছে।
আরোও পড়ুন : বড় ঘোষণা পূর্ব রেলের, হোলিতে ছুটবে একাধিক অতিরিক্ত ট্রেন! জানুন কোথা থেকে কোথায়
মডেল এবং এনইজি স্কুলগুলি মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ সাহায্যেই তৈরি হয়েছে। স্কুল তৈরির ক্ষেত্রে জমি দিয়েছে রাজ্য সরকার। হেয়ার, সংস্কৃত এবং বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট হাইস্কুলের মতো কলকাতার ঐতিহ্যশালী স্কুলগুলির শিক্ষকদের মতে, এই তিন ধরনের ক্যাটাগরির স্কুলগুলিকে একই নিয়োগ বিধির আওতায় আনার ফলে নষ্ট হচ্ছে তাদের কৌলিন্য।
এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে,সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকারা হিন্দু, হেয়ার, সংস্কৃতের মতো ৩৯টি সরকারি স্কুলের ড্রয়িং অ্যান্ড ডিসবার্সমেন্ট (ডিডিও) অথরিটির দায়িত্বে থাকেন। তবে সরকারি পোষিত স্কুলের মতোই সংশ্লিষ্ট জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শকরা (ডিআই-মাধ্যমিক) হয়ে গেছেন নিউ ইন্টিগ্রেটেড স্কুলের ডিডিও। মডেল স্কুলের ক্ষেত্রে মহকুমাশাসক হয়ে উঠেছেন সেখানকার ডিডিও।
বয়েজ ও গার্লস স্কুলের ক্ষেত্রে পৃথকভাবে নিয়োগ করা হয় শিক্ষক ও শিক্ষিকা। কিন্তু কো-এড ভিত্তিতেই শিক্ষক নিয়োগ করা হয়ে থাকে মডেল স্কুল এবং এনইজি স্কুলগুলিতে। এই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতনের একাংশ বহন করে কেন্দ্রীয় সরকার। এক্ষেত্রে তাঁদের আশঙ্কা কেন্দ্রীয় সরকার যদি বিআরজিএফ প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ বন্ধ করে দেয় তাহলে তাঁদের কী হবে?
বিকাশ ভবনের আধিকারিকরা অবশ্য বলছেন, ‘আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরে সরকারি স্কুল ছিল না। সেইসঙ্গে হুগলি, হাওড়া, পুরুলিয়া এবং বীরভূমে মতো একাধিক জেলায় আবার হাতে গোনা শতাব্দী প্রাচীন সরকারি স্কুল। এই পরিস্থিতিতে ওই সব জেলার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলিতে সুবিধা হবে।’