বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পদুচেরিতে কংগ্রেস সরকারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করার জন্য একদিনের বিশেষ অধিবেশন সোমবার সকালে শুরু হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী সদনে বিশ্বাসমত পেশ করেন। তিনি দাবি করেছিলেন যে, ওনার কাছে সংখ্যাগরিস্থতা হয়েছে। যদিও তিনি পরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারেন নি। তিনি বিধানসভায় বিশ্বাসমত পেশ করার আগে পদুচেরিকে পূর্ণ রাজ্যের তকমা দেওয়ার দাবি জানান। এর পাশাপাশি তিনি রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল কিরণ বেদি এবং কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে পদুচেরির সরকার ভঙ্গ করার অভিযোগ তোলেন।
পদুচেরির নবনিযুক্ত রাজ্যপাল তামিলিসাই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামীকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিরোধী শিবির পদুচেরির শাসনে থাকা কংগ্রেস এবং জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা খোয়ানর দাবি করার পর রাজ্যপাল এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। রবিবার কংগ্রেস বিধায়ক লক্ষ্মীনারায়ণ এবং কংগ্রেসের সহযোগী দলের বিধায়ক ভেঙ্কটেশনের ইস্তফা দেওয়ার পর ৩৩ সদস্যের বিধানসভায় কংগ্রেস-দ্রমুক জোটের বিধায়ক সংখ্যা কমে ১১ হয়ে যায়। পাশপাশি বিরোধী শিবিরে এখন ১৪ জন বিধায়ক আছে।
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী নমসিবায়ম (উনি এখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন) আর মল্লাডি কৃষ্ণ রাও সমেত কংগ্রেসের চারজন বিধায়ক এর আগে ইস্তফা দিয়েছিলেন। আর দলের অন্য বিধায়কদের অযোগ্য আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। নারায়ণস্বামীর ঘনিষ্ঠ বিধায়ক এ জন কুমারও কদিন আগে ইস্তফা দেন। বলে রাখি, পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, অসম, তামিলনাড়ুর সঙ্গে পদুচেরিতেও আগামী কয়েকমাসের মধ্যে নির্বাচন হতে চলেছে।