বাংলাহান্ট ডেস্ক: এক বছরে পড়তে আর দিন কয়েকের দেরি। তার আগেই মা পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (puja banerjee) সঙ্গে কলকাতায় বেড়ু বেড়ু করতে চলে এল ছোট্ট কৃশিব (krishiv)। প্রথম বার প্রাক পুজোর আনন্দ আর মামাবাড়ি ঘোরা এক ঢিলে দুই পাখি মেরে তারপর মুম্বই ফিরে যাবে সে জন্মদিন পালন করতে।
তার আগে কলকাতার হোটেলে টুকটুক করে হেঁটে ঘুরে বেড়াল কৃশিব। এই প্রথম বার একা একা হাঁটতে শিখল সে। আর সন্তানের এই বিশেষ মুহূর্তটা ক্যামেরাবন্দি করে রাখলেন গর্বিত মা পূজা। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, হোটলের ঘরে দিব্যি একা একা টলোমলো পায়ে হাঁটছে কৃশিব। ঘরের দরজা পর্যন্ত গিয়েই ধুপ করে বসে পড়েছে সে।
শান ও শ্রেয়া ঘোষালের ‘চার কদম’ গানের সঙ্গে রিল ভিডিওটি শেয়ার করেছেন পূজা। সঙ্গে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘চার কদম, প্রথম কদম। আমার বেবি’। পূজা পুত্রকে আদরে ভরিয়ে দিয়েছেন ঘনিষ্ঠ বান্ধবী মোনালিসা। নেটিজেনরা উচ্ছ্বসিত কৃশিবের মিষ্টি ভিডিও দেখে।
https://www.instagram.com/reel/CUoyUUEBssc/?utm_medium=copy_link
দুষ্টুমিতে বেশ হাত পাকিয়ে ফেলেছে কৃশিব। অভিনেত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে উঁকি দিলেই দেখা যায় খুদের দুষ্টুমির নানান নমুনা। কৃশিবের বড় হয়ে ওঠার মুহূর্তগুলো ক্যামেরাবন্দি করে অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করেন পূজা। কখনো মায়ের গালে কামড় দিচ্ছে সে, আবার কখনো মায়ের মাস্কের দিকে নজর তার। ছেলের দুষ্টুমিতে নাজেহাল অবস্থা পূজার।
https://www.instagram.com/reel/CUmyjV7IcB6/?utm_medium=copy_link
পুজোর আগে আগে টুক করে ছেলেকে নিয়ে কলকাতা চলে এসেছেন পূজা। এবারে একাই এসেছেন তিনি। সঙ্গে আসতে পারেননি স্বামী কুণাল ভার্মা। কলকাতায় ব্যস্ত শিডিউল পূজার। একটি পুজোর বিজ্ঞাপনের শুটিং সারবেন। এছাড়া কেনাকাটিও রয়েছে কিছু পুজোর। সেই সঙ্গে বাবা মায়ের সঙ্গে, এই শহরের সঙ্গেও সময় কাটাবেন তিনি।
https://www.instagram.com/reel/CUXstLkoB94/?utm_medium=copy_link
আসলে ওই সব কাজ স্রেফ অজুহাত মাত্র। অভিনেত্রী জানালেন, পুজোর গন্ধে গন্ধেই প্রতিবার এই সময়টায় কলকাতা ছুটে আসেন তিনি। বেশ কয়েকটা দিন কাটিয়ে যান নিজের শহরে। তবে এবার ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই। ৯ অক্টোবর, চতুর্থীর দিন জন্মদিন ছেলে কৃশিবের। এক বছরে পা দিতে চলেছে সে।
এই বিশেষ দিনটা পরিবারের সকলের সঙ্গেই কাটাতে চান পূজা। তাই মহালয়ার পরেই তাঁকে মুম্বই ফিরে যেতে হবে বলে জানান অভিনেত্রী। কৃশিবের এটাই প্রথম দূর্গাপুজো। মা পূজা তাই চান এখন থেকেই একটু একটু করে দূর্গাপুজোর গুরুত্ব বুঝতে শিখুক। ছোট থেকেই ছেলেকে পুজোর আনন্দটা বোঝাতে চান পূজা।