বাংলাহান্ট ডেস্ক : আর কিছুদিন পর দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই মাতৃ আরাধনার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যের সর্বত্র। কিন্তু একের পর এক বিপদ যেন পিছু ছাড়ছে না বঙ্গবাসীর। নাগারে বৃষ্টি থেকে শুরু করে পুজোর আগে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস সবকিছুই এখন চিন্তার কারণ আপামোর বঙ্গবাসীর। একই সাথে আবার থাবা বসিয়েছে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া।
একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অন্যদিকে রোগভোগ, সব মিলিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পুজো উদ্যোক্তাদের। ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পুজোর আগে প্রাণও হারিয়েছেন বহু মানুষ। এই পরিস্থিতিতে বহু কর্মীর ছুটি বাতিল করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (West Bengal Government) । ডেঙ্গুর ফলে করুণ অবস্থা রাজ্যবাসীর। সম্প্রতি রাজ্যের পক্ষ থেকে পেশ করা একটি তথ্য দেখে অনেকের চোখই কপালে উঠেছে।
আরোও পড়ুন : লাগবে না এক টাকাও! এবার সহজেই হাতে আসবে আধার কার্ড, পড়ুয়াদের জন্য অভিনব কর্মসূচি
সেখানে দেখা যাচ্ছে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। গতবছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কলকাতায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৪০০। কিন্তু এই বছর সেই সংখ্যা ছুঁয়েছে ২৭০০। ডেঙ্গু রীতিমতো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে শহর-শহরতলী ও গ্রামে। এমন অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার ছুটি বাতিল করেছে পুরসভার কর্মীদের।
আরোও পড়ুন : ক্লাস সিক্সে পড়তে পড়তেই বিয়ে, ২০ বছরেই সন্তান! শত বাধা পেরিয়েও NEET’এ বাজিমাত রামলালের
পুজোর সময় আর পাঁচটা সাধারন মানুষ যখন মেতে উঠবেন আনন্দে, তখন নিজেদের কর্তব্য পালনে ব্যস্ত থাকবেন পুর কর্মীরা। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, কলকাতার তিনটি বোরোতে সবথেকে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্ত রয়েছে। সেগুলি হল ১, ১০ এবং ১৩ নম্বর বোরো।
পুরসভার পক্ষ থেকে এই এলাকাগুলোতে নিয়মিত মশা নিধন অভিযান চালানো হচ্ছে। এগুলির মধ্যে ১০ নাম্বার বোরো সবথেকে বড়। ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে এখানে। এখানে কিছু কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস রয়েছে। অভিযোগ উঠছে ঠিকমতো পরিষ্কার রাখা হচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসগুলি। আবার সেখানে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না পুরসভার কর্মীদের।
পুরসভার পাশাপাশি ছুটি বাতিল করা হয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীদেরও। বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেছেন, পুজোর সময় পরিষেবা অব্যাহত রাখতে ছুটি বাতিল করা হয়েছে ৭১ হাজার বিদ্যুৎ কর্মীর। সবাইকে ষষ্ঠী থেকে দশমী অফিসে এসে কাজ করতে হবে। ফলে, পুজোর দিনগুলোতে বাংলার মানুষের আনন্দ যাতে ব্যাহত না হয় তাই এই পদক্ষেপ।