বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ময়নার (Moyna) বাকচায় বিজেপি নেতাকে (BJP Leader) অপহরণ করে খুনের অভিযোগ। গতকাল থেকে উত্তপ্ত শুভেন্দু গড় পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur)। সূত্রের খবর, প্রথমে বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইঞা নামের ওই বুথ সভাপতির স্ত্রী ও পরিবারের সামনেই বেধড়ক মারধর করে তৃণমূলের (Trinamool) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তারপর মোটরবাইকে করে তুলে নিয়ে যায়। পরে রাস্তার মাঝে নেতার মাথা থ্যাঁতলানো দেহ উদ্ধার হয়।
বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় রাতেই তার প্রতিবাদে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। ভয়াবহ এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। সেখানেরই আরেক বিজেপি সদস্যকেও অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। গভীর রাতে অবশ্য সেই কর্মীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গোটা ঘটনায় বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দার অভিযোগ, খুনের পিছনে হাত রয়েছে ময়নার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সংগ্রাম দলুইয়ের। বিধায়ক বলেন, “আমাদের বুথ সভাপতি বিজয়বাবু তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁর উপর হামলা হয়। এরপর বন্দুক দেখিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।”
তিনি বলেন, “পুলিশ ও আমাদের নেতৃত্বকেও জানিয়েছি। রাতেই দেহ উদ্ধার হয়। শুনছি দেহ উদ্ধার করে তমলুকে পাঠানো হয়েছে। আমরা প্রয়োজনে আদালতে যাব। আমাদের আরেক কর্মী সঞ্জয় তাঁতিকেও তুলে নিয়ে গিয়েছে।” অন্যদিকে, সেই অভিযোগ নাস্যাত করে প্রাক্তন বিধায়কের পাল্টা দাবি, পারিবারিক বিবাদের জেরে এই খুন।
ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতী সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “বাকচায় গত পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই অশান্তি চলছে। ওখানে মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের অত্যাচারে বিজেপির কাছে এসেছেন। আমরা তাদের নেওয়ার পরও তারা পঞ্চায়েত জিতিয়েছেন। তারপর অত্যাচার বেড়েছে। একাধিকবার আক্রমণ হয়েছে। মহিলারা আক্রান্ত হয়েছেন। আমি নিজে বহুবার গিয়েছি। পুলিশ দিয়ে অত্যাচার হয়েছে। পঞ্চায়েতের আগে ফের এইসব করে মানুষের মনে ভয় তৈরির চেষ্টা হচ্ছে।”