কোনও নিয়ম মানছে না ইসকন, অভিযোগ তুলে এবার পুজোর রীতিনীতির ‘কপিরাইট’ নিতে চলেছে পুরীর মন্দির!

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : অতীতে রসগোল্লা, আর এবার জগন্নাথদেবের পুজোর রীতিনীতি। ফের বিতর্কের আঁচ বাংলা-ওড়িশায়। দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরির হওয়ার পর থেকেই একাধিক অভিযোগ এনেছিল পুরীর জগন্নাথ মন্দির (Puri Jagannath Temple) কর্তৃপক্ষ। কখনও বিগ্রহ তৈরির কাঠের উৎস, কখনও আবার দিঘার জগন্নাথ মন্দিরকে ‘ধাম’ আখ্যা দেওয়া নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। আর এবার আরেক ধাপ এগিয়ে পুজোর রীতিনীতির ‘কপিরাইট’ নেওয়ার পথে হাঁটতে চলেছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির (Puri Jagannath Temple) কর্তৃপক্ষ।

পুজোর রীতিনীতিতে কপিরাইট নেওয়ার পথে পুরীর মন্দির (Puri Jagannath Temple)

পুজোর রীতিনীতিতেও কপিরাইট! শুনতে অবাক লাগলেও এবার এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির (Puri Jagannath Temple) কর্তৃপক্ষ। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে পুরীর সাম্মানিক রাজা তথা জগন্নাথ মন্দিরের ম্যানেজিং কমিটির চেয়ারম্যান গজপতি মহারাজ দিব্যসিংহ দেব এই খবরে শিলমোহর দিয়েছেন। পুজোর রীতিনীতির কপিরাইট নেওয়ার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।

Puri Jagannath Temple to claim copyright on puja rules

ইসকনের বিরুদ্ধে অভিযোগ: ইসকনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে পুরীর মন্দির (Puri Jagannath Temple) কর্তৃপক্ষের দাবি, ইসকন পুজোর রীতিনীতি পালন করছে না। দেশ বিদেশে বিভিন্ন সময়, ইচ্ছামতো দিনে জগন্নাথদেবের পুজোর আয়োজন করছে, রথযাত্রা করছে। এতে জগন্নাথদেবের (Puri Jagannath Temple) ভক্তদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হচ্ছে। ইসকনের সদর দফতর মায়াপুরের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনাও চলছে বলে জানিয়েছেন গজপতি মহারাজ।

 আরও পড়ুন: আইনে সমানাধিকার থাকলেও এই ৫ ক্ষেত্রে পারিবারিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবেন মেয়েরা, কী করণীয়?

কপিরাইট নিয়ে বিতর্ক: তবে ইসকনের বিরুদ্ধেই যদি মূল অভিযোগ থাকে, তবে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যা মিটিয়ে নিলেই হয়। পুজোর কপিরাইট নেওয়ার কী প্রয়োজন? উঠছে প্রশ্ন। পাশাপাশি এই কপিরাইট নেওয়া হলে তো আর বিশ্বের আর কোথাও কেউ ওই নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে পুজোই (Puri Jagannath Temple) করতে পারবে না। এ একরকম ধর্মাচরণে বাধা দেওয়া বলেও অভিযোগ উঠছে।

আরও পড়ুন : ফ্ল্যাটে ঢুকতেই ঝাঁপিয়ে পড়ে… ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ জিম ট্রেনারের বিরুদ্ধে, বাধা দিতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি!

এদিকে তৃণমূলের একাংশের মতে, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের জনপ্রিয়তার কারণেও এমন পদক্ষেপ নিতে পারে পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ। এর আগে দিঘার জগন্নাথ ‘ধাম’ নাম রাখা নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন পুরী গোবর্ধনপীঠের শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতী। আপত্তি জানিয়েছিল ওড়িশা সরকারও। তবে এবার পুজোর রীতিনীতির কপিরাইট নেওয়ার আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেই জানিয়েছেন পুরীর ‘সাম্মানিক’ রাজা।