বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি ঘিরে উত্তাল গোটা বঙ্গ। এবার সেই একই অভিযোগে শোরগোল পুরুলিয়া পুরসভায় (Purulia Municipality)। সেখানের সাফাই কর্মীরা কাজের পরেও পাচ্ছেন না বেতন! অপরদিকে নতুন করে নিয়োগ করা হচ্ছে অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের। এই অভিযোগ তুলেই এদিন কাজ বন্ধ করে দিলেন পুরসভার সাফাই কর্মীরা। তাঁদের দাবি, ন্যূনতম বেতনটাও তাঁদের দেওয়া হয় না। এরই মধ্যে নতুন করে সাফাই কর্মী নেওয়া হচ্ছে বলে তাঁদের এই বিক্ষোভ (Protest)।
এদিন সকাল থেকেই অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা চত্বর। তাঁদের দাবি,নতুন করে নির্মল বাংলা মিশনে প্রতি ওয়ার্ডে ৫ জন করে অস্থায়ীভাবে সাফাই কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে। এই ঘটনার প্রতিবাদেই অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দেন পুরুলিয়া পুরসভার সাফাই বিভাগের অস্থায়ী কর্মীরা। তবে তাঁদের এই অভিযোগ মানতে নারাজ পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি। তাঁর দাবি নিয়ম মেনেই নতুন করে ২৭ জন নির্মল সাথী ও নির্মল বন্ধু নিয়োগ করা হয়েছে। কাউন্সিলদের বোর্ড মিটিংয়ে নেওয়া সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই এই নিয়োগ করা হয়েছে। তাই কোথাও কোনও বেনিয়মের প্রশ্ন নেই।
মঙ্গলবার আন্দোলনকারীদের মধ্যে একজন পুরসভার বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলে বলেন, “প্রতি ওয়ার্ডে ৫ জন করে ২৭ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। অথচ আমাদের নিয়মিত বেতন নেই। আমরা বলেছিলাম, যখন বেতনই পাচ্ছি না, নতুন করে লোক নেওয়ার দরকার কী। এখান থেকে লোক নিলে তো ভাল হতো। সে কথা শোনা হল না। আমরাও বাইরে থেকে কোনও লোক নিয়োগ করতে দেব না। আমাদের এখান থেকেই লোক নিতে হবে। না হলে আমরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।”
অন্যদিকে নিজের অবস্থানেই অনড় পুরপ্রধান। তাঁর বক্তব্য, “আমাদের কাজের যে গাইডলাইন, তাতে বলা হয়েছে বাসিন্দার সংখ্যা অনুযায়ী কোনও ওয়ার্ডে ২ জন, কোনও ওয়ার্ডে ১ জন করে ২৭ জন নির্মল সাথী নিয়োগ করতে হবে। সবথেকে বড় তাঁরা উচ্চমাধ্যমিক পাশ, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা হলে এ কাজের যোগ্য। তাঁরাই বাড়ি বাড়ি ঘুরে সবটা দেখবেন। ৮ ঘণ্টা ডিউটি ওনাদের। একইসঙ্গে ১৩৮ জন নির্মল বন্ধু নিয়োগ হচ্ছে। পরে বাড়বে। আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম যাঁরা কর্মী আছেন, তাঁদের থেকেই নেব। তার জন্য সুপারভাইজারদের সঙ্গে বসা হয়। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। তারপরই বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয় ৫ জন করে কর্মী নেওয়া হবে। পুরনোরা নাম দিল না, সুপারভাইজাররা তো ব্যর্থ।” সবমিলিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকেই সরগরম পুরসভা চত্বর।