বাংলা হান্ট ডেস্ক: চলছে বর্ষা কাল। আপনি যাকেই জিজ্ঞেস করছেন কেউ না কেউ ঘুরতে যাচ্ছে কোথাও না কোথাও। কিন্তু আপনি যেতে পারছেন না কোথাও। ছুটি পাচ্ছেন না আপনি। তাহলে আর কিছু দিন অপেক্ষা করে যান। অগষ্টের আছে পরপর তিনদিন ছুটি। তো ঘুরে আসতেই পারেন পুরুলিয়ার ( Purulia) পাহাড়পুর (Paharpur) থেকে। কম সময়ে তাহলে পাহাড় ঘোরা হল তো! নামে পাহাড়পুর হলেও এখানে রয়েছে উজার করা প্রকৃতির রূপ। এমনকি এখানে ঢেউ খেলানো মালভূমি থেকে শুরু করে দ্বারকেশ্বরের বয়ে চলা, চাষের ক্ষেত সব রয়েছে। এখানের প্রাকৃতিক পরিবেশের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে অল্পদিনের ছুটি দিব্যি কেটে যায়।
সবুজে ঘেরা পুরুলিয়ার পাহাড়পুর (Purulia)
পাহাড়পুর (Paharpur) আসলে প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্যই। এখানে এলে সকাল থেকে সন্ধ্যা উপভোগ করতে পারবেন দ্বারকেশ্বরের রূপ দেখে। উত্তরবঙ্গের পাহাড়ে না গিয়েও প্রকৃতির কাছাকাছি এত সুন্দর জায়গায় সময় কাটাতে আসতেই পারেন। পাহাড়পুর থেকে ১২ কিলোমিটার গেলেই সোনাঝুরির জঙ্গল। সে পথে যাওয়ার সময় নজর পড়তে পারে রোদে ঝকমকিয়ে ওঠা পাথরের টুকরো। গাড়ি থামিয়ে কয়েকটি পাথর হাতে নিলেই বুঝতে পারবেন, তার গায়ে লেগে রয়েছে অভ্র। আসলে এখানে অভ্রের খনি ছিল। খনি অবশ্য বর্ষার পরে জলেই ভরে থাকে। এমনকি এখানে রয়েছে ছোট ছোট অনেক সাঁওতালি গ্রাম। এছাড়াও ঘুরে দেখতে পারেন, বরুনেশ্বর শিব মন্দির, বান্দা গ্রামের প্রাচীন মন্দির ও চেলিয়ামা গ্রামের রাধা বিনোদ মন্দির। সারাদিন পাহাড়পুরের চারিপাশ ঘুরে বিকেলের সময়টা কাটান দ্বারকেশ্বরের তীরে বসে। দ্বারকেশ্বরের তীরে বসে এমন সূর্যাস্তের অনুভূতি পুরুলিয়া আর অন্য কোথাও পাবেন না।
কীভাবে যাবেন পুরুলিয়ার পাহাড়পুরে?
শিয়ালদহ কিংবা হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে নামতে হবে ইন্দ্রবিল রেলস্টেশন। এটি পাহাড়পুরের নিকটবর্তী রেলস্টেশন। কিন্তু সেখানে সব ট্রেন থামেনা। যার কারণ বশত আপনাকে নামতে হবে আদ্রা স্টেশনে। আদ্রা থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পাহাড়পুর। আদ্রা থেকে গাড়ি করে চলে আসুন পাহাড়পুরে। আর পুরুলিয়া থেকে বাসে গেলে নামতে হবে রঘুনাথপুর স্টপেজে। সেখান থেকে প্রায় 2৯ কিলোমিটার পথ পেরোলেই পাহাড়পুর। এছাড়াও কলকাতা থেকে নিজস্ব গাড়িতে গেলে যেতে সময় লাগবে ৬ ঘন্টা।
কোথায় থাকবেন?
পাহাড়পুরে থাকার জন্য রয়েছে একটি ইকো রিসর্ট। যার ঘর ভাড়া পড়বে ২৫০০ টাকা। এছাড়া খাওয়া খরচ পড়বে ৮০০ টাকা। সাধারণ ভাবে থাকার সব কিছুই রয়েছে এখানে।