পুরুলিয়ায় এক শিক্ষকেই চলছে ক্লাস! বদলি প্রক্রিয়ায় আরও শিক্ষক পাঠাতে শুরু প্রস্তুতি, আসছে তৃতীয় বিজ্ঞপ্তি

Published on:

Published on:

Purulia Teacher Shortage problem is going to be solve
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুরুলিয়া (Purulia) জেলায় এখনও শতাধিক প্রাথমিক স্কুলে মাত্র একজন করে শিক্ষক আছেন। দীর্ঘদিন ধরেই এই স্কুলগুলোতে পড়াশোনা চালাতে বড় সমস্যা হচ্ছিল। এবার বদলি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই স্কুলগুলোতে আরও শিক্ষক পাঠাতে চলেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। খুব শীঘ্রই তৃতীয় দফার বদলির বিজ্ঞপ্তি বেরোবে। তার আগে প্রথম দুই দফার বদলিতে যে ভুলগুলো হয়েছে, সেগুলো ঠিক করা হচ্ছে।

আগের দুই দফায় কী হয়েছে (Purulia)?

জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) কানাইলাল বাঁকুড়া জানান, প্রথম দফায় ৯৭টি স্কুলে শিক্ষক পাঠানো হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় আরও ১৭৯টি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। ফলে কিছুটা হলেও শিক্ষক সংকট কমেছে।

সূত্রের খবর, পুরুলিয়ায়(Purulia) মোট ৪১৮টি স্কুলে অনেক দিন ধরেই মাত্র একজন শিক্ষক ছিলেন। আবার একই জেলায় এমন কিছু স্কুল আছে, যেখানে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি শিক্ষক রয়েছেন। সেই কারণেই সংসদ ৩২১টি স্কুলে শিক্ষক সংখ্যা ঠিক করার কাজ শুরু হয়েছে।

বদলিতে নতুন সমস্যা

দ্বিতীয় দফার বদলির বিজ্ঞপ্তি বেরোতেই অভিযোগ ওঠে অনেক শিক্ষককে ৫০ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরের স্কুলে পাঠানো হয়েছে। এত দূরে যাওয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়। এর ফলে শিক্ষকমহলে ক্ষোভ দেখা দেয়। এরপরই সেই ভুলত্রুটি ঠিক করার কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সব ভুল সংশোধন হয়ে গেলে বাকি ১৪২টি স্কুলে শিক্ষক পাঠানোর জন্য নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। পুরো বদলি প্রক্রিয়া শেষ হলে জেলার অধিকাংশ স্কুলেই শিক্ষক সংখ্যার সমস্যা অনেকটা কমে যাবে।

Purulia Teacher Shortage problem is going to be solve

আরও পড়ুনঃ হাসপাতালের বেডে কুণাল, ফোনে কেঁদে ফেললেন পার্থ! কী কথা হল দু’জনের?

উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সহ-সভাপতি চন্দন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সংসদের ভুল সিদ্ধান্তেই এতদিন জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা সমস্যায় পড়েছে। এবার সেই ভুল ঠিক করতে গিয়ে আবার ভুল হয়েছে।” তাঁর দাবি যেসব স্কুলে বাড়তি শিক্ষক আছেন, সেখান থেকেই বদলি করা উচিত। প্রয়োজনে শহরের স্কুল থেকেও শিক্ষক পাঠাতে হবে। আপাতত পুরুলিয়ার (Purulia) স্কুলগুলিতে শিক্ষক সংকট কবে পুরোপুরি দূর হবে, এখন সেই দিকেই তাকিয়ে অভিভাবক এবং শিক্ষকমহল।