বাংলাহান্ট ডেস্ক: শাড়িতেই (Saree) নারী। একথা তো সকলেই বহুবার শুনেছেন। বিশেষ করে বাঙালি মেয়েদের শাড়িতেই রূপটা বেশি খোলে। পশ্চিমী সভ্যতার যতই ছেয়ে ফেলুক না কেন ফ্যাশন দুনিয়াকে, চিরন্তন ভারতীয় পোশাক শাড়িকে কেউই ভুলতে পারেনি, পারবেও না।
কিন্তু শাড়ি যে শুধু নারীর পরিধেয়ই হতে হবে, এমনটা কেন? যুগ বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে অনেক কিছুই। শুধু একটাই জিনিস এখনো জগদ্দল পাথরের মতোই নট নড়ন চড়ন অবস্থায়। সেটা হল মানুষের চিন্তাধারা। ওটিকে বদলানো বড় সহজ কাজ নয়। আর এই কঠিন দায়িত্বটাই স্বেচ্ছায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন পুষ্পক সেন (Pushpak Sen)।
নিজেকে ‘বং মুন্ডা’ (Bong Munda) নামে পরিচয় দেন কলকাতার এই ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার। শাড়িতে যে শুধুই মহিলাদের অধিকার নেই, পুরুষরাও সগর্বে শাড়িতে সাজতে পারেন সেটাই সমাজের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চান পুষ্পক। ১২ হাতের আভিজাত্যকে বিভিন্ন রকম করে স্টাইল করেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে পুষ্পকের সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। রীতিমতো ভাইরাল হয় তাঁর ছবি। পুরুষ শাড়ি পরলেই যে দাড়ি গোঁফ কেটে ফেলতে হবে, এমন চিন্তাধারাতেও বিশ্বাসী নন পুষ্পক। এক মুখ দাড়ি গোঁফ নিয়েই দিব্যি শাড়ি পরে সাজেন তিনি। দস্তুর মতো গয়নাও পরেন।
শোভাবাজারে একটি চায়ের দোকানে একবার চা খেতে গিয়েছিলেন পুষ্পক। আশেপাশের অনেকেরই কৌতূহলী দৃষ্টি নজর এড়ায়নি তাঁর। তখন থেকেই এই দৃষ্টিগুলো বদলানোর চেষ্টা শুরু পুষ্পকের। এখন তিনি ‘বং মুন্ডা’। ১৯ হাজারের উপরে ফলোয়ার তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে।
শাড়ি পরে শুধু কলকাতা নয়, বিদেশেও পাড়ি দিয়েছেন পুষ্পক। ইতালির রাস্তায় তাঁর শাড়ি আর কপালে লাল টিপ পরা ফটো তুমুল ভাইরাল হয়েছিল। ব্লাউজ ছাড়া লাল পাড় সাদা শাড়ি, নাকে নথ আবার জমকালো বেনারসীতেও নিজেকে সাজিয়েছেন পুষ্পক। তেমনি কুর্তি লেগিংস বা জিন্স এথনিক কুর্তা পরেও স্টাইল করেছেন পুষ্পক।