বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বহু চর্চিত ও জনপ্রিয় প্রকল্প গুলির মধ্যে একটি হল ‘স্বাস্থ্যসাথী’ (Swasthya Sathi) প্রকল্প। বুধবার ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট (Budget) পেশ করেছে রাজ্য সরকার। গত বছরে বাজেটে স্বাস্থ্যসাথীর জন্য বরাদ্দ ছিল ২৫০০ কোটি টাকা। আর এ বার তা মাত্র ১০ কোটি টাকা বৃদ্ধি করে বরাদ্দ করা হল ২৫১০ কোটি টাকা। জনপ্রিয় জনকল্যাণমূলক এই প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমান নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।
বরাদ্দের অংক নিয়ে স্বাস্থ্য শিবিরের একাংশের প্রশ্নের মুখে রাজ্য। তাদের কথায় এই প্রকল্পে যে-হারে পরিষেবা প্রদানের উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে, তাতে এই বৃদ্ধির পরিমান কী সঠিক? সম্প্রতি দুয়ারে চিকিৎসক কর্মসূচী শুরু করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। একদিকে যেখানে শহরের পাশাপাশি গ্রামের চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর এত পরিমান জোর দেওয়া হচ্ছে তাতে ২০২৩-’২৪ রাজ্য বাজেটে স্বাস্থ্য ক্ষেত্র অবহেলিত রয়ে গিয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে।
এই বিষয় তুলে রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী শিবিরও। রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন , ‘‘স্বাস্থ্যে স্থায়ী পরিকাঠামো তৈরির কথা কিছুই বলা হয়নি বাজেটে। কিছু জানানো হয়নি আয়ুষ্মান ভারতের বিষয়েও। ভিন রাজ্যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেওয়া হবে কি না, সেটাও স্পষ্ট করা হয় নি।”
বাজেটে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যসাথীতে কমবেশি ৪৫.৪৮ লক্ষ মানুষকে সুবিধা দিতে মত খরচ হয়েছে ৬১৯৯.৯৪ কোটি টাকা। অন্যদিকে, অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী বারংবার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে উন্নয়নের কথা বললেও রাজ্যে জুড়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যা যা অভাব রয়েছে, সেগুলিকে পৃথকভাবে গুরুত্ব দিয়ে অভাব পূরণের কোনো কথা বাজেটে উল্লেখ করেননি।
প্রসঙ্গত, গতকাল বিধানসভায় বাজেট পেশ করতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “আগামী অর্থবর্ষে স্বাস্থ্যে প্রায় ৬৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হল। ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে এই খাতে বরাদ্দ ছিল ১৭,৫৭৭ কোটি টাকা। এ বার সেটি বেড়ে হয়েছে ১৮,২৬৪.৬২ কোটি।” করোনা রোধ ব্যবস্থাপনায় ২৯৯২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানাচ্ছে বাজেট। পাশাপাশি, চোখের আলো কর্মসূচিতে ৮৯.৯৪ লক্ষ মানুষ চক্ষু পরীক্ষা, স্বাস্থ্য ইঙ্গিত প্রকল্পে ৯৪.৪৮ লক্ষ মানুষ টেলিমেডিসিনের সুবিধা পেয়েছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।