‘প্লিজ বলবেন না..,’ অবশেষে মুখ খুললেন আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ, আজই ঘুরবে মোড়?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজিকর (R G Kar) হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার (Doctor Rape and Murder Case) তদন্তে ফের সিবিআই এর মুখোমুখি আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh former principal of R G Kar)। সূত্রের খবর, শুক্রবার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত দেড়টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে যান তিনি। এরপর শনিবার ফের হাজির হন সিবিআই দপ্তরে। এদিন সকাল দশটা নাগাদ সিজিওতে ঢোকেনি সন্দীপ।

সিবিআই এর মুখোমুখি আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (R G Kar)

শনিবার সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার মুখে তাকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। সেখানেই ক্যামেরার সামনে মুখ খোলেন আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। অনুরোধের সুরে বলেন, “দয়া করে বলবেন না, আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” তার কথায়, “আমাকে সিবিআই তদন্তের স্বার্থে ডেকেছে। আমি আমার দিক থেকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব।”

   

প্রসঙ্গত, আরজিকরে তরুণী চিকিৎসকের নারকীয় খুনের ঘটনায় জনরোষের মুখে পড়েছেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। গত ৮ আগস্ট, মারা যাওয়ার দিন নাইট শিফটে ছিলেন তরুণী চিকিৎসক। সেই সময় হাসপাতালের অধ্যক্ষ ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। এরপর খুনের ঘটনা সামনে আসতেই সন্দীপের পদত্যাগের দাবি ওঠে রাজ্যজুড়ে। উত্তাল হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। পরে চাপে পড়ে নিজেই পদত্যাগ করেন সন্দীপ।

ওদিকে নিজের হাসপাতালে এহেন নৃশংস ঘটনার জেরে পদত্যাগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কপাল খোলে সন্দীপবাবুর। রাজ্য সরকারের তরফে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদে আনা হয় তাকে। তবে সেই পদও ছাড়তে হয় সন্দীপকে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে। তদন্তভার যায় সিবিআই এর হাতে।

Sandip Ghosh former RG Kar Hospital Principal caught by CBI

আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির মাঝেই প্রাইমারি TET নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নোটিশ, কী জানাচ্ছে পর্ষদ?

এরপর শুক্রবার দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দীপকে মাঝরাস্তা থেকে পাকড়াও করে কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। এরপর ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত দেড়টা নাগাদ সিজিও থেকে পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যান তিনি।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর