বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি মালদার চাঁচল কলেজে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি পোড়ানোকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এই ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ। ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ জানায়।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২ সেপ্টেম্বর। অভিযোগ, কলকাতার মেয়ো রোডে সেনার তরফে তৃণমূলের ভাষা আন্দোলনের মঞ্চ খুলে দেওয়ার প্রতিবাদ জানাতে চাঁচল কলেজে আন্দোলন করে টিএমসিপি। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ একাধিক বিজেপি নেতার ছবি আগুনে পোড়ানো হয়। সেই সঙ্গে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে ভিডিওতে দেখা গিয়েছে। ছাত্র সংগঠনের প্রতিবাদ মঞ্চে মনীষীদের ছবিকে এভাবে পোড়ানোয় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ভিডিওতে স্পষ্ট ধরা পড়েছে মালদা জেলা টিএমসিপি-র সাধারণ সম্পাদক মোকাদ্দেম হোসেন ওরফে বাবু সরকার এবং প্রাক্তন ছাত্র বাপি আলী নেতৃত্ব দিচ্ছেন এই কর্মসূচিতে। যদিও তাঁদের কলেজের সঙ্গে পড়াশোনার যোগ বহু আগেই শেষ, তবুও আন্দোলনের ময়দানে তাঁদের সক্রিয়ভাবে দেখা গিয়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।
ভিডিও ভাইরাল হতে কড়া ভাষায় তৃণমূলকে আক্রমণ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)
ভিডিও ভাইরাল হতেই বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) কড়া ভাষায় তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে। এছাড়া বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁও একযোগে এই ঘটনাকে “বাঙালির সংস্কৃতির প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা” বলে মন্তব্য করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে সুকান্ত লিখেছেন, অশিক্ষা ও বর্বরতার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ এই ঘটনা। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, রবীন্দ্রনাথের ছবি দাহ করার দুঃসাহস যাদের মধ্যে আছে, তাদের বাংলা প্রেম আসলে ভণ্ডামি। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, পুলিশ-প্রশাসনের দায়িত্ব হল অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা।
আরও পড়ুনঃ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে নবম-দশম শ্রেণীর পরীক্ষা, আগামী রবিবারের পরীক্ষা নিয়েও আশাবাদী ব্রাত্য বসু
চাঁচল কলেজে বিক্ষোভের মঞ্চ থেকে মনীষীর ছবিতে আগুন দেওয়ার ঘটনা শুধুমাত্র রাজনৈতিক মহলেই নয়, সাধারণ মানুষকেও ব্যথিত করেছে। বাংলার সংস্কৃতির প্রতীক রবীন্দ্রনাথকে কেন্দ্র করে এভাবে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, রাজনৈতিক প্রতিবাদ কি এমন অপমানজনক পথে গড়াতে পারে? এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।