বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলা তথা বিশ্ব সাহিত্যের অন্যতম সফল সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)। ভারত তো বটেই, এশিয়া মহাদেশের প্রথম নোবেল পুরস্কার বিজেতা রবীন্দ্রনাথ আজও প্রত্যেকটা বাঙালির প্রতিটা নিঃশ্বাসে বেঁচে আছেন। রবীন্দ্রনাথের বহুমুখী প্রতিভা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। রবীন্দ্রনাথ নিজেই একজন প্রতিষ্ঠান।
তাঁর বিকল্প তিনি নিজেই। আজ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী। বাংলা সহ বিশ্ব জুড়ে আজ পালিত হচ্ছে রবীন্দ্র জয়ন্তী। কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ (ইংরেজির ১৮৬১ সালের ৭ মে) জন্ম রবীন্দ্রনাথের। রবীন্দ্রনাথের পরিবার ছিল জমিদার বংশ।
আরোও পড়ুন : ISC’তে অবাক করে দেওয়া নম্বর অনুব্রত মণ্ডলের! গণিত, রসায়নে ১০০ তে ১০০
ছোটবেলা থেকে অত্যন্ত বৈভবের সাথেই বড় হয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। তবে অনেকেই হয়ত জানেন না রবীন্দ্রনাথের পরিবারের আসল পদবী (Surname) কিন্তু ‘ঠাকুর’ নয়। রবীন্দ্রনাথের পরিবারের আসল পদবী ‘কুশারি’। এই কুশারি থেকে কীভাবে রবীন্দ্রনাথের পরিবার ঠাকুর হয়ে উঠল, সেই বিষয়ে জানার জন্য আমাদের অনেক বছর পিছিয়ে যেতে হবে।
আরোও পড়ুন : উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ৯০ শতাংশ, এগিয়ে কোন জেলা? এভাবে দেখুন রেজাল্ট
জানা যায়, এক ধরনের বিশেষ মাংসের গন্ধ শোঁকার জন্য সুন্দরবন অঞ্চলের চার ব্রাহ্মণ জমিদার ভাই রতিদেব কুশারি, কামদেব কুশারি, শুকদেব কুশারি, জয়দেব কুশারি কলঙ্কিত হন সমাজে। জগন্নাথ কুশারী এনাদেরই পরবর্তী বংশধর।মহেশ্বর আর শুকদেব এই বংশেরই ধারক। জানা যায়, মহেশ্বর আর শুকদেব গোবিন্দপুরের গরিব মানুষদের অত্যন্ত সেবা করেন।
তাঁরা গরিব মানুষের কাছে ভগবান বা ঠাকুর হয়ে ওঠেন। গোবিন্দপুরে আসার পর এভাবেই তাঁরা কুশারী পদবী ত্যাগ করে ব্যবহার করতে শুরু করেন ঠাকুর। জানা যায়, ঠাকুর পদবী প্রথমে ব্যবহার করতেন শুধু শুকদেব। তাঁর ভাই মহেশ্বরের ছেলে পঞ্চাননও পরবর্তীকালে ঠাকুর পদবী হিসাবে ব্যবহার করতে শুরু করেন। এইভাবে ধীরে ধীরে রবীন্দ্রনাথের পরিবার ঠাকুর বংশ হিসাবে পরিচিতি লাভ করে।