বাংলাহান্ট ডেস্ক: দুটো বিয়েই ব্যর্থ। একমাত্র ছেলে প্রণীলকে একাই বড় করেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)। দ্বিতীয় বিয়েতে ডিভোর্স না হলেও ছেলেকে প্রায় একা হাতেই মানুষ করেছেন তিনি। আর তাই রচনা কার্যত ছেলে অন্ত প্রাণ। নিজের কাজ সামলে প্রণীলকেও সময় দেন তিনি। তবে ইদানিং তাকে নিয়ে বেশ চিন্তায় রয়েছেন রচনা।
অভিনয় থেকে অনেক দিন আগে সরে এলেও ক্যামেরাকে বিদায় জানাননি রচনা। দিদি নাম্বার ওয়ান তাঁকে ছাড়া অচল। সিজনের পর সিজন ধরে সফল ভাবে চলছে দিদি নাম্বার ওয়ান। এর পেছনে অনেকটাই সময় দিতে হয় তাঁকে। প্রত্যেক পর্বে বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিযোগীরা আসেন। অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত মানুষজনও আসেন শোতে। তাদের কাছে অনেক সময়েই ছেলের নামে নালিশ করেন রচনা।
সম্প্রতি মা মেয়ে এবং মা ছেলে স্পেশ্যাল পর্বে প্রতিযোগী হয়ে এসেছিলেন ‘জগদ্ধাত্রী’ সিরিয়ালের স্বয়ম্ভূ ওরফে অভিনেতা সৌম্যদীপ মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর মা। শোতে এসে ছেলের ছোটবেলার কাণ্ডকারখানার কথা ফাঁস করে দেন সৌম্যদীপের মা। তিনি নাকি ছোটবেলায় খুবই দুষ্টু ছিলেন। স্কুল পালানোরও অভ্যাস ছিল।
এই করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন বাবার কাছে। শেষমেষ বাড়িতে পড়ানোর ব্যবস্থা করে পালানোর অভ্যাসে লাগাম টানা হয় তাঁর। সৌম্যদীপের মা জানান, একটু বড় হতে আপনা থেকেই দুরন্ত স্বভাবটা বদলে গিয়েছে। এখন সম্পূর্ণ অন্য রকম তিনি। শুনেই রচনা জিজ্ঞাসা করে বসেন, ‘কত বছর বয়স থেকে পরিবর্তনটা লক্ষ্য করলেন? তাহলে আমিও একটু তৈরি থাকতে পারি। আমার জীবন তো অশান্ত হয়ে রয়েছে’।
অভিনেতার মা উত্তর দেন, ১৫-১৬ বছর বয়স থেকেই বদলটা দেখেছেন তিনি। তবে রচনার এখনো দেরি আছে। সঙ্গে সঙ্গে দিদি নাম্বার ওয়ানের অভিযোগ, ‘আমার ছেলে ১৫। শান্ত হওয়ার কোনো লক্ষণই নেই’। তবে সৌম্যদীপের মা আশ্বাস দিয়ে বলেন, ধীরে ধীরে শান্ত হবে। তাঁর কথা শুনে হাতজোড় করে কপালে ঠেকান রচনা, তাই যেন হয়।
এর আগেও ক্যামেরার সামনে প্রণীল ওরফে রৌণকের সঙ্গে খুনসুটি করতে দেখা গিয়েছে রচনাকে। এই বয়সে ছেলেদের মোবাইলে বেশি মনোযোগ থাকা মানেই সন্দেহজনক ব্যাপার, শুনেই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ‘রৌণক আজকে আমি তোর সঙ্গেই ঘুমাব’! বলা বাহুল্য, মা ছেলের এই খুনসুটি বেশ উপভোগ্য দর্শকদের কাছে।