বাংলাহান্ট ডেস্ক: আজ ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ বলতে একজনকেই চেনে বাংলার মানুষ। তিনি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (rachana banerjee)। একটা সময় টলিউড সহ অন্য ভাষার ছবিতে চুটিয়ে কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু এখন অভিনয় থেকে দূরে রিয়েলিটি শোয়ের সঞ্চালনা, ছেলে প্রণীল ও সদ্য শুরু করা শাড়ির ব্যবসা নিয়েই দিব্যি সুখে আছেন রচনা। দিদি নাম্বার ওয়ান তাঁকে জনপ্রিয়তার আলাদা মাত্রা দিয়েছে। অভিনয় না করেও যে সর্বদা লাইমলাইটে থাকা যায় তা প্রমাণ করে দিয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মাস কয়েক আগেই নিজের বাবাকে হারিয়েছেন অভিনেত্রী। এখন একমাত্র ছেলে প্রণীলই তাঁর ধ্যানজ্ঞান। ছেলের জন্য কম আত্মত্যাগ করেননি রচনা। একটা দীর্ঘ সময় অভিনয় থেকে দূরে থেকেছিলেন তিনি ছেলে মানুষ করার জন্য। এমনকি সন্তানের মুখের দিকে চেয়েই বিবাহ বিচ্ছেদ না করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রচনা।
সম্প্রতি ক্যালকাটা টাইমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে রচনা জানান, তিনি বিবাহ বিচ্ছিন্না নন। তিনি এখনো বিবাহিত। তবে ‘হ্যাপিলি ম্যারেড’ নন। রচনা জানান, ছেলের জন্য বিয়ে ভাঙেননি তিনি। কারণ তিনি চান না প্রণীলকে ট্যাগ দেওয়া হোক যে সে ‘ডিভোর্সি’ মায়ের সন্তান। স্বামীর সঙ্গে যৌথ সিদ্ধান্ত নিয়েই বিচ্ছেদের পথে এগোননি তিনি।
রচনা জানান, তাঁরা আলাদা থাকেন ঠিকই, তবে তাঁরা এখনো বন্ধু। ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে মাঝে মাঝেই দুজনে ঘুরতে যান, একসঙ্গে সময় কাটান। তারপর আবার যে যার নিজের বাড়ি। রচনা স্পষ্ট জানান, “আমি জীবনে অন্য কোনো পুরুষকে চাই না”। অভিনেত্রী জানান, দিদি নাম্বার ওয়ানে এসে তিনি এমন এমন মহিলাদের কষ্টের কাহিনি শুনেছেন যা শুনে তাঁর মনে হয়েছে, এদের তুলনায় তাঁর জীবনে দুঃখ অনেক কম। অনেকের থেকে অনুপ্রেরণা পান বলে জানান রচনা।
সাক্ষাৎকারে প্রয়াত বাবার স্মৃতিচারণ করে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন রচনা। “বাবা আমার সব, বাবাকে ছাড়া আমি কিচ্ছু না”, এতটা বলেই বাকরুদ্ধ হয়ে যান অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “গাইড করার আর কেউ রইল না জীবনে। বাবা মা যেমন বোঝাত, এটা ঠিক করছি, ওটা ভুল করছি। এখন কিছু ভুল করলে কে বোঝাবে?” বাবাকে নিজের বন্ধু ও পথপ্রদর্শক বলে মনে করতেন রচনা। তাঁর আচমকা প্রয়াণের পর প্রায় এক মাস কাজ থেকে দূরে ছিলেন অভিনেত্রী সঞ্চালিকা।