বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি করের মর্মান্তিক ঘটনার এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও খামেনি বিতর্ক। ন্যায় বিচারের দাবিতে সরব নির্যাতিতার পরিবার। মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার ও যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হলেও নির্যাতিতার পরিবারের দাবি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে আরও বড় বড় মাথা। তাদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে শনিবার ৯ আগস্ট অভয়ার বাবা-মায়ের ডাকে ফের হয়েছে নবান্ন অভিযান। এই প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)। এদিন তিনি সরাসরি বললেন, ‘এই মামলায় সঞ্জয় রায় একমাত্র অভিযুক্ত নন, আরও অপরাধী থাকতে পারে।’
‘এক বছর কেটে গেলেও অধরা আসল অপরাধীরা’, অপরাধীদের খুঁজে বের করার দাবি রচনার (Rachana Banerjee)
প্রসঙ্গত, এক বছর আগে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ঘটে যাওয়া নির্যাতনের ঘটনায় একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে জেলে রয়েছেন সঞ্জয় রায়। কিন্তু নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অভিযোগ, সঞ্জয় একা নয়, আরও দোষীরা রয়েছে যাদের এখনো আইনের আওতায় আনা হয়নি। শনিবার হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Rachana Banerjee) এই একই দাবি তুললেন। তিনি জানান, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন সিবিআই তদন্ত হোক, কিন্তু এক বছর কেটে গেলেও সত্যিকারের অপরাধীরা এখনো ধরা পড়েনি। আমাদের আসল অপরাধীকে খুঁজে বের করতে হবে এবং শাস্তি দিতে হবে।”
এই মামলায় সিবিআই-এর তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিতার পরিবার। তাঁদের দাবি, সিবিআই তদন্তের নামে সময় নষ্ট করেছে। যদিও রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee) মনে করেন, “সময় নষ্ট বলে কিছু হয় না, বিচারাধীন ঘটনা নিয়ে ধৈর্য ধরে এগোতে হবে।”
শুক্রবার রাতদখলের মিছিলের পর শনিবার নবান্ন অভিযানে অংশ নেন নির্যাতিতার মা-বাবা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ অভিযানের সময় তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে, শাঁখা ভেঙে দিয়েছে এবং শারীরিকভাবে হেনস্থা করেছে। তবে পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ডিসি পোর্ট জানিয়েছেন, “তিলোত্তমার মাকে কেউ মারেনি।”
আরও পড়ুনঃ ‘নিম্নমানের’, মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে কটাক্ষ, কল্যাণের মন্তব্যে ফের শুরু নতুন বিতর্ক
উল্লেখ্য, এক বছর পরও আরজি কর মামলার প্রকৃত দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত হয়নি। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee) থেকে শুরু করে নির্যাতিতার পরিবার, সবার দাবি একই, সত্য উদঘাটন ও দোষীদের আইনের আওতায় আনা। তদন্তের ধীরগতিতে প্রশ্ন রয়ে গেলেও আন্দোলন থামেনি, আর বিচার পাওয়ার প্রত্যাশাও অটুট।