“দিদির নির্দেশ মানেই কল্যাণদার নির্দেশ”, দলে ‘কোণঠাসা’ সাংসদের পাশে দাঁড়িয়ে সওয়াল রচনার

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : তৃণমূলের (Trinamool Congress) অন্দরে এখনও বিতর্কের সুর অব্যাহত। লোকসভায় রাজ্যের মুখ সচেতকের পদ থেকে ইস্তফা দেন কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়। তারপরেই তাঁর জায়গা নিয়েছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এ নিয়ে দলের (Trinamool Congress) অন্দরে এখনও চলছে চাপান উতোর। এমনকি এমনও গুঞ্জন ছড়িয়েছে, মহুয়া মৈত্র সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই নাকি ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। এমতাবস্থায় শ্রীরামপুরের সাংসদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল আরেক সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

তৃণমূলের (Trinamool Congress) অন্দরে বিতর্ক নিয়ে সরব রচনা

কল্যাণের বিষয়ে রচনা এদিন বলেন, ‘আমরা সকলেই রক্ত মাংসের মানুষ। অভিমান সবার হতেই পারে। তবে আমাদের নেত্রী এমন একজন মানুষ যে দলের উপরে রেগে থাকতেই পারিনা। কল্যাণদার কথা শুনেই তো আমরা চলি’। এদিন তিনি আরও বলেন, কল্যাণদার নির্দেশ মানেই দিদির (Trinamool Congress) নির্দেশ আর দিদির নির্দেশ মানেই কল্যাণদার নির্দেশ। মুখ্য সচেতকের জায়গায় অন্য একজনকে আনা হয়েছে। তার মানে এটা নয় যে তিনি দল ছেড়ে দিচ্ছেন।

Rachna banerjee talks about kalyan banerjee amid Trinamool Congress controversy

কী বললেন সাংসদ: এদিন সংসদে উপস্থিতির প্রসঙ্গ নিয়েও মুখ খোলেন রচনা। তাঁর কথায়, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সংসদে প্রতিদিনই যাওয়া উচিত। যদি না কোনও অসুবিধা হয়। এরপরেই নিজের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, তিনি রাজনীতি (Trinamool Congress) ছাড়াও অন্য পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

আরও পড়ুন : এবার পুজোয় আর পাতে উঠবে না ডিমভরা ইলিশ! ভরা শ্রাবণে রূপোলি শষ্য নিয়ে এল বড় আপডেট

কাজ সামলে করছেন রাজনীতি: রচনা বলেন, তিনি বছরের ৩৬৫ দিন একটা অনুষ্ঠান চালান, যেটা বন্ধ হলে মানুষ আন্দোলন শুরু করবে। এছাড়াও তাঁর সংসার, ব্যবসা রয়েছে। সব ম্যানেজ করে চলতে হয় তাঁকে। সংসদে ১০০ শতাংশ হাজিরা দিতে না পারলেও যাওয়ার চেষ্টা করেন বলে জানান রচনা।

আরও পড়ুন : আট বছরেও বদলায়নি সম্পর্ক, মুসলিম দাদাকে কেন রাখি পরান? খোলসা করলেন তিয়াশা

প্রসঙ্গত, কল্যাণ-মহুয়া বিবাদে তৃণমূলের অন্দরে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল বিতর্ক। এর মাঝে দিল্লিতে নিজের বিয়ের রিসেপশন পার্টি দিলেও সেখানে কল্যাণকে নাকি আমন্ত্রণই জানাননি মহুয়া। যদিও উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল রচনা সহ অন্যান্য সাংসদদের।