বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: একসময় যখন সাধারণ মানুষের বাড়িতে ঘরে ঘরে টিভি উপলব্ধ ছিল না, তখন রেডিওই মানুষকে ভরসা জোগাতো বিনোদনের জন্য। ফুটবলপ্রেমী বাঙালির বৈঠকখানায় ময়দানের স্বাদ পৌঁছে দিয়েছিল। অজয় বসু, পুষ্পেন সরকারদের ধারাভাষ্য আজও চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ বছর বয়স্ক ক্রীড়াপ্রেমী বাঙ্গালীদের মনে এক নস্টালজিয়ার জন্ম দেয়। শোনা যাচ্ছে আবারও ফিরতে চলেছে রেডিও ধারাভাষ্যের সেই ধারা।
কলকাতা লীগে আবার সেই উন্মাদনা ফেরানোর ভাবনা নিয়েছে আইএফএ। এই খবর শুনে অনেক ক্রীড়াপ্রেমী বয়স্ক বাঙালি অতীতের স্মৃতি রোমন্থন শুরু করে দিয়েছেন। এখন ঘরে ঘরে টিভি পৌঁছে গিয়েছে, তার সঙ্গে রয়েছে মুঠোফোনে বা কম্পিউটারের ডিজিটাল সম্প্রচার উপভোগ করার সুযোগ। ফলে এই মুহূর্তে রেডিও সম্প্রচার অনেকটা গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। তবু আরেকবার এক্সপেরিমেন্ট করে দেখতে চাইছে আইএফএ।
জানা গিয়েছে যে আকাশবাণীর আধিকারিকরা আই এফ এর সঙ্গে আলোচনা করে একটি চুক্তিতে এসেছেন। পুরনো সচিব এই ব্যাপারে কোন গুরুত্ব না দিলেও নতুন সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর অনির্বাণ দত্ত এই বিষয়টি নিয়ে কি করা যায় তা গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। তিনি মনে করেন গ্রামবাংলার দিকে এখনও রেডিও পুরোপুরি অচল হয়ে যায়নি। শহরবাসীর মত এখনো শুধুমাত্র মহালয়াই ওই অঞ্চলগুলির মানুষের কাছে রেডিওর কার্যকারিতার পরিধি নির্ধারণ করে না। তাদের মধ্যেও অনেক ফুটবলপ্রেমী আছেন যারা এই উদ্যোগে খুবই সুখী হবেন।
এখনো অবধি ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডান কলকাতা লিগ খেলার ব্যাপারে রাজি হলো এটিকে মোহনবাগান এখনো কোনওরকম সিদ্ধান্ত নেয়নি। আই এফ এর কাছ থেকে কিছু অর্থ বকেয়া থাকায় এই ব্যাপারে ধীরে চলো নীতি নিয়েছেন সবুজ-মেরুন কর্তারা। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার মনে করছেন রেডিওর মাধ্যমে খেলার সম্প্রচারের ফিরিয়ে আনার চিন্তাভাবনা একটি ইতিবাচক দিক। মহামেডানের বিলাল আহমেদ খান জানিয়েছেন যে রেডিওতে এই ধারাভাষ্য শুরু হলে দর্শকরা মাঠে ফিরে আসার উৎসাহ ফেরত পাবেন। ইতিমধ্যে কলকাতা লিগের ম্যাচ গুলিতে রেডিও ফিরে আসার আগে আসন্ন ডুরান্ড কাপ এর ডার্বি ম্যাচে আকাশবাণী ফুটবল ধারাভাষ্য দিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে দেখবে যে এই পরিকল্পনা কতটা জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।