বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রায় বরেলির কংগ্রেস (Indian National Congress) বিধায়ক অদিতি সিংহ (Aditi Singh) আবারও সংবাদের শিরোনামে। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে কংগ্রেস নাম মুছে দেওয়ার পর এবার দলের হোয়াটসয়াপ গ্রুপ থেকেও বেরিয়ে গেলেন। তবে কি এবার জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার (Jyotiraditya Scindia) পথে হাঁটতে চলেছেন অদিতি সিংহ?
সম্প্রতি নিজের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে কংগ্রেস নাম মুছে দিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের রায় বরেলি থেকে কংগ্রেস বিধায়ক অদিতি সিংহ। আইএনসি (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস) নাম সরিয়ে লিখেছিলেন @ অদিতি সিংহআরবিএল। তবে এবার তাঁর দলের হোয়াটসয়াপ গ্রুপ থেকে বেরিয়া যাওয়া নিয়েও চলছে জোর জল্পনা।
সিন্ধিয়ার পথে অদিতি
আরবিএল মানে হল রাই বরেলি। আচমকাই অদিতি সিংয়ের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর থেকেই বিভিন্ন মহলে উঠছিল নানান প্রশ্ন। কংগ্রেসের নাম মুছে নেওয়ার পাশাপাশি তিনি তাঁর স্যোশাল মিডিয়া প্রোফাইল থেকে রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধীর ছবিও সরিয়ে নিয়েছিলেন। আর এবার বেরোলেন দলের হোয়াটসয়াপ গ্রুপ থেকে। তবে কি এবার দল ত্যাগ করতে চলেছেন কংগ্রেস বিধায়ক অদিতি সিংহ, এমন প্রশ্ন জাগছে দলের সদস্যদের মধ্যে। কিছুদিন আগে মধ্য প্রদেশে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া নিজের ট্যুইটার প্রোফাইল পরিবর্তন করার কিছুদিন পর তিনি দলও পরিবর্তন করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। আর তারপর থেকেই ভাঙ্গন শুরু হয়েছিল দলে।
যোগীকে সমর্থন অদিতির
প্রথম অদিতি সিংহ গান্ধী জয়ন্তীর দিনে কংগ্রেস দলের নিয়ম লঙ্ঘন করে ইউপি আইনসভার বিশেষ অধিবেশনে অংশ নিয়েছিলেন। এই ঘটনার পর তাঁকে নোটিশ পাঠালেও, তিনি তা অস্বীকার করেন। সেই সময়ে কংগ্রেস এবং যোগী সরকারে মধ্যে বাস বিষয়ক রাজনীতির উত্তপ্ত করণের মধ্যে অদিতি সিংহ-র ট্যুইট আলোচনার বিষয় বস্তুতে পরিণত হয়েছিল। ওই বিষয় নিয়ে তিনি কংগ্রেস, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থান সরকারের সামনে প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন। এই সমগ্র বিষয়টিতে অদিতি সিং আবার যোগী সরকারকে সমর্থন করেছিলেন।
ট্যুইটে সরব অদিতি
অদিতি সিং একটি টুইট করে বলেছিলেন, “বিপর্যয়ের সময় রাজনীতির কী খুব দরকার ছিল? এক হাজার বাসের যে তালিকা পাঠানো হয়েছিল, তাতেও অর্ধেকেরও বেশি বাস খারাপ ছিল। ২৯৭ টি জাঙ্ক বাস, ৯৮ টি অটোরিকশা এবং অ্যাম্বুলেন্সের মতো বাস, ৬৮ টি কাগজবিহীন গাড়ি ছিল। যদি বাস না থাকত, তাহলে রাজস্থান, পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্রে কেন পাঠাতে গেল?”
এই ঘটনার পরবর্তীতে তিনি অন্য একটি টুইটে লেখেন, “কোটায় যখন হাজারধিক বাচ্চা রাজস্থানে আটকা পরে গেছিল, তখন কি তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দিতে পারত না কংগ্রেস সরকার। এমনকি বর্ডার অবধিও তো ছাড়তে পারত। কিন্তু যোগী আদিত্যনাথ রাতারাতি ওই বাচ্চাদের বাড়ি পৌঁছাবার ব্যবস্থা করেন এবং পৌছিয়েও দেন। যার জন্য তিনি অনেক প্রশংসিতও হন”।