ভারতের সোনার সিংহাসন লন্ডনে গেল কীভাবে? নেপথ্যে রয়েছে কোন অজানা রহস্য?

বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রায় ২০০ বছর ধরে ভারতবর্ষের রাজত্ব করার সময় ভারতের বহু মূল্যবান ধন-সম্পদ লুঠ করে নিয়ে গিয়েছে ইংরেজ শাসক দল। যার মধ্যে বারবার উঠে এসেছে কোহিনুর হীরের (Kohi-Noor Diamond) কথা। তবে শুধু কোহিনুর হীরেই নয় ভারত থেকে লুঠ করে নিয়ে যাওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে পাঞ্জাবের সোনার সিংহাসন-ও (Swarn Singhasan)। সম্প্রতি ভারতের এই মহা মূল্যবান স্বর্ণ সিংহাসন (Swarn Singhasan) ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সুর চড়িয়েছিলেন আম আদমি পার্টির রাজ্যসভা সাংসদ  রাঘব চাড্ডা।

পাঞ্জাবের সোনার সিংহাসন-ও (Swarn Singhasan):

সম্প্রতি ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি শের-ই পাঞ্জাবের ঐতিহ্যশালী সিংহাসন ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য দাবি জানিয়েছেন।মহারাজা রঞ্জিত সিং এর শিখ রাজ্য পাঞ্জাবের অন্যতম আইকনিক প্রতীক পাঞ্জাবের এই সোনার সিংহাসন। যা বর্তমানে লন্ডনের ,লন্ডনের ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট (ভিএন্ডএ) মিউজিয়ামে রয়েছে।

   

ভিক্টোরিয়া এন্ড অ্যালবার্ট মিউজিয়ামে সজ্জিত রয়েছে এবার এই সিংহাসন ভারতে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন রাঘব চাড্ডা। তবে শুধু তিনি একা নন, পাশাপাশি বিজেপির প্রাক্তন রাজ্যসভার সংসদ শ্বেত মালিক-ও বলেছেন  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এই সিংহাসন দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। এমন পরিস্থিতিতে ভারত থেকে কীভাবে এই সোনার সিংহাসন লন্ডনের জাদুঘরে পৌঁছল তা কিন্তু বেশ রোমাঞ্চকর।

আরও পড়ুন: সোনা কেনার সঠিক সময়? দাম শুনে এক্ষুনি দৌড়াবেন বাজারে

জানা যায় মহারাজা রণজিৎ সিংহ কেবলমাত্র উৎসব-অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যেই এই সিংহাসন ব্যবহার করতেন।ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যাবে এই সিংহাসনটি দ্বিতীয় ব্রিটিশ-শিখ যুদ্ধে পাঞ্জাবের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। যা পরে ১৮৪৯ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধিগ্রহণের ফলে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির অংশ ছিল।

Gold Chair

সেসময় এই সিংহাসনটি লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং ১৮৫১ সালের প্রদর্শনীতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্যান্য ধনসম্পদগুলির সাথেই এটি প্রদর্শিত হয়েছিল।পরবর্তীতে এই সিংহাসন \লন্ডনের ভারতীয় যাদুঘরে প্রদর্শিত হয়েছিল। তারও পরে এই সিংহাসনটি ভিক্টোরিয়া এবং অ্যালবার্ট যাদুঘরে চলে যায়, যেখানে এটি বর্তমানে ২৫১৮ নম্বর (আইএস) ইনভেন্টরির অধীনে রাখা হয়েছে।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর