বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দশম দিনেও বাড়ল পেট্রলের দাম (petrol price) । মঙ্গলবার দিল্লিতে পেট্রল লিটার পিছু দাম বেড়েছে ৪৭ পয়সা। লিটারপিছু ডিজেলের দাম বেড়েছে ৫৭ পয়সা। দিল্লিতে লিটার পিছু পেট্রলের দাম ৭৬.৭৩ টাকা, লিটার পিছু ডিজেলের দাম হয়েছে ৭৫.১৯টাকা। যা নিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে (narendra modi) তোপ দেগেছেন রাহুল গান্ধী (rahul gandhi)
বিশ্ববাজারে ক্রুড অয়েলের দাম তলানিতে ঠেকা পেট্রোলের দামে আগুন ভারতের বাজারে। আজ নিয়ে টানা ১০ দিন চড়চড়িয়ে বাড়ছে দাম। গত নয় দিনে পেট্রোলের দাম বেড়েছে ৫ টাকা। পিছিয়ে নেই ডিজেলও ৯ দিনে ডিজেলের দাম বেড়েছে ৪ টাকা ৮৭ পয়সা। দশম দিনে লিটার পিছু পেট্রল ও ডিজেলের দাম বাড়ল যথাক্রমে ৪৭ ও ৫৭ পয়সা।
তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধী। নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মধ্যবিত্ত ও দরিদ্রদের দুর্দশা থেকে লাভ করা বন্ধ করুন।
আনলকডাউন এর প্রথম পর্বেই পেট্রল ডিজেল এর দাম বাড়বে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিশেষজ্ঞ মহল। সেই আশঙ্কা সত্যি করে আজ আরো মহার্ঘ হল পেট্রল ডিজেল। দেশের সরকারি তেল বিপণন সংস্থাগুলি (এইচপিসিএল, বিপিসিএল, আইওসি) আবারও পেট্রল-ডিজেলের দাম পর্যালোচনা শুরু করেছে। যে কারণে প্রতিদিন দাম পরিবর্তন হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, ৮০ টাকা ছাড়াতে পারে পেট্রল ডিজেল এর দাম।
ইতিমধ্যেই তেলের ওপর অতিরিক্ত অন্তঃশুক্ল বসিয়েছে মোদি সরকার । পেট্রোলে লিটার প্রতি ১০ টাকা ও ডিজেলে লিটার প্রতি ১৩ টাকা করে অন্তঃশুল্ক বসানো হল। যার ফলে বিশ্ব বাজারে তলানিতে ঠেকা তেলের দামের কোনো সুবিধা পাবেন না দেশবাসী।
ভারতে পেট্রল ডিজেল এর বার্ষিক চাহিদা ২.৪ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা ছিল । কিন্তু করোনার প্রকোপে তা ৫.৬ শতাংশ কমতে চলেছে বলেই জানানো হয়েছে। পরিবহন ও কৃষিক্ষেত্রে ভারতে এবছরের ডিজেলের চাহিদা গত বছরের তুলনায় ৫৫.৬ শতাংশ কম। অন্যদিকে পেট্রলের বিক্রি গত বছরের তুলনায় ৬০.৬ শতাংশ কমতে পারে। এ বছর ০.৯৭ মিলিয়ন টন পেট্রল বিক্রি হতে পারে।অন্যদিকে বেড়েছে রান্নার গ্যাসের চাহিদা । ফলে বিক্রিও বেড়েছে। রান্নার গ্যাসের বিক্রি এখনও পর্যন্ত ১২.১ শতাংশ বেড়েছে।